Advertisement
E-Paper

রেলের জমি দখল করে মিড-ডে মিল

মিড-ডে মিল চালুর জন্য খড়্গপুরে রেলের জায়গা জবরদখলের অভিযোগ উঠল। প্রধান শিক্ষকের দাবি, মিড-ডে মিল রান্নার জন্য জমি না পেয়ে বাধ্য হয়েই তাঁরা এমনটা করেছেন। সোমবার রেলশহরের আয়মায় ছত্তীসগঢ় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মিড-ডে মিল চালু হয়। প্রধান শিক্ষক শুকদেব শর্মা বলেন, “এক দিকে প্রশাসনিক চাপ। অন্য দিকে রেলকে আবেদন করেও জমি না পেয়ে বাধ্য হয়ে জবরদখল করে চারটি কংক্রিটের খুঁটির উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে রান্নাঘর করেছি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩১
মিড ডে মিল খাচ্ছে পড়ুয়ারা।—নিজস্ব চিত্র।

মিড ডে মিল খাচ্ছে পড়ুয়ারা।—নিজস্ব চিত্র।

মিড-ডে মিল চালুর জন্য খড়্গপুরে রেলের জায়গা জবরদখলের অভিযোগ উঠল। প্রধান শিক্ষকের দাবি, মিড-ডে মিল রান্নার জন্য জমি না পেয়ে বাধ্য হয়েই তাঁরা এমনটা করেছেন।

সোমবার রেলশহরের আয়মায় ছত্তীসগঢ় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মিড-ডে মিল চালু হয়। প্রধান শিক্ষক শুকদেব শর্মা বলেন, “এক দিকে প্রশাসনিক চাপ। অন্য দিকে রেলকে আবেদন করেও জমি না পেয়ে বাধ্য হয়ে জবরদখল করে চারটি কংক্রিটের খুঁটির উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে রান্নাঘর করেছি।”

কী বলছেন রেলকর্তারা? খড়্গপুর রেলের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে অতিরিক্ত জমি দিতে পারব না। তাই বলে জবরদখল হলে আমরা চুপ করে থাকব না। কারণ, একটা স্কুল করলে আস্তে আস্তে সব স্কুল তা করতে শুরু করবে।” আর খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলছেন, “আমরা মিড-ডে মিল চালু করতে বলেছি। যেখানে জমির অভাব সেখানে স্বসহায়ক দলগুলি অন্য জায়গা থেকে রান্না করে এনেও খাওয়াতে পারে। সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলেই কোথাও কোথাও এমনটা হচ্ছে।”

এত দিন মহকুমা প্রশাসন নানা ভাবে মিড-ডে মিল চালুর নির্দেশ দিলেও কিছু স্কুলের তা চালু করা নিয়ে অনিহা দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন মহকুমাশাসক আর বিমলা মিড-ডে মিল চালু না হওয়া শহরের ১৯টি স্কুলকে কারণ দর্শাতে বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেখানেই উঠে আসে নানা সমস্যা। কোথাও স্কুলে জায়গার অভাবের অভিযোগ, তো কোথাও রান্নাঘর ও জল সমস্যার ফাঁসে আটকে ছিল মিড-ডে মিল পরিষেবা। তবে ওই বৈঠকের পরেই মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে ১০টি স্কুল মিড-ডে মিল শুরু করে। বর্তমান মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের চাপের মুখে চালু হয় আরও কয়েক’টি স্কুলের মিড-ডে মিল।

গত সেপ্টেম্বরে ছত্তীসগঢ় হাইস্কুল এই মিড-ডে মিল চালু করলেও প্রাথমিকে তা চালু করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জায়গার অভাব। একই কারণ দেখিয়ে মিড-ডে মিল এখনও চালু করেনি রেলের জমিতে লিজে চলা সাউথ সাইড বয়েজ ও সাউথ সাইড গার্লস হাইস্কুল। এ দিন অবশ্য রেলের জমি জবরদখল করেই রেলের জমিতে লিজে চলা ছত্তীসগঢ় প্রাথমিক মিড-ডে মিল চালু হল। এ দিন মিড-ডে মিল চালু করার সময়ে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুরেশ যাদব, প্রধান শিক্ষক শুকদেব শর্মা, স্কুল শিক্ষক তথা বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক প্রমুখ।

kharagpur midday meal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy