শহরের শরৎপল্লি লাহা বাড়ির পুজো। নিজস্ব চিত্র।
ধন-সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত কে না চায়। তাই চিরাচরিত উৎসাহ-উদ্দীপনা মেনেই কোজাগরী লক্ষ্মী আরাধনা হল ঘরে ঘরে।
এই পুজো মূলত পারিবারিক। এক পরিবারে পুজোর রীতি এক এক রকম। চিড়িমারসাইয়ের দাস পরিবারের লক্ষ্মী পুজো চলে তিনদিন ধরে। রোজই থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একদিন বাড়ির ছোটরা নাটক করে। স্থানীয় শিল্পীরা করেন যাত্রা। বাইরের শিল্পীদের অনুষ্ঠানও হয়। সেই মঞ্চে পরিবারের সদস্যরাও গান গান। একদিন আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি, বন্ধুবান্ধবদের ভোগ খাওয়ানো হয়। এক সময় এই পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় থাকত হাতি, ঘোড়া। এখন আর সেই জাঁক নেই। পরিবারের সদস্য মানস দাস, তপন দাসদের কথায়, “বন্যপ্রাণী নিয়ে আইনের কড়াকড়িতেই এ সব জোটানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
খাপ্রেলবাজারের গিরি পরিবারের পুজোয় আবার লক্ষ্মীকে বাড়ির মেয়ে হিসাবে পুজো করা হয়। বাড়িতে বানানো পায়েস, খিচুড়ি ও নানা তরিতরকারি পুজোয় দেওয়া হয়। লক্ষ্মী প্রতিমাকে শাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি পুজোর ঘটেও দেওয়া হয় শাড়ি। পরিবারের সদস্য রমা গিরির কথায়, “ঘটে শাড়ি দেওয়ার অর্থ তা মেয়েকে পরানো হচ্ছে।”
৩০ বছর ধরে লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে শরৎপল্লির লাহা পরিবারে। ব্যবসায়ী এই পরিবারের সদস্য বাবুসোনা লাহার কথায়, “হঠাৎ এক রাতে মা স্বপ্নে দেখেন, বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করতে হবে। তাহলে সংসারের মঙ্গল হবে। ১৯৮৫ সালে পুজো শুরু হয়।” গোড়ায় পুজোয় তেমন আড়ম্বর না থাকলেও পরে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পুজোর জাঁকজমক।
পটনাবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পাণ্ডব পরিবারে লক্ষ্মী পূজিত হন কমলা রূপে। প্রতিমার দু’দিকে হাতি এবং দুই দাসী থাকে। থাকে দুই দাসও। মাঝে শিব। পুজোয় পরিবারের সব সদস্য, আত্মীয়স্বজনেরা হাজির হন। এখনও বিসর্জনের সময় প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার চল রয়েছে। পরিবারের সদস্য বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন, “পূর্বপুরুষেরা কাঁধে করেই প্রতিমা বিসর্জন দিতেন। আমরা সেই প্রথা মেনেই চলি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy