শিলদা-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বললেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। রবিবার শিলদায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে আইজি বলেন, “শিলদার ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে দিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।” তাঁর আরও সংযোজন, “লুঠ হওয়া বন্দুকগুলির অর্ধেকের বেশি উদ্ধার করতে পেরেছি। শিলদা-কাণ্ডে যুক্ত মাওবাদীদের বেশিরভাগকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” নিহত জওয়ানদের স্মরণে শহিদ মিনার তৈরি হবে বলেও জানান আইজি।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ আয়োজিত শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে আইজি ছাড়াও ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন ইএফআর ও সিআরপি’র আধিকারিকরাও।
ঘটনার পর শিলদা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া জায়গাটি থেকে ইএফআর ক্যাম্পটি তুলে নেওয়া হয়। পরিবর্তে শিলদা থেকে কিছুটি দূরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের স্ট্র্যাকো জওয়ানদের ক্যাম্প হয়। এ দিন দুপুরে প্রথমে শিলদা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ঘটনাস্থলে অস্থায়ী শহিদ স্তম্ভে মালা দেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। এরপর স্ট্র্যাকো ক্যাম্প প্রাঙ্গণে স্থায়ী শহিদ বেদিতে মালা দেওয়া হয়। সেখানে ‘শহিদ স্মৃতি উদ্যানে’ ২৪টি মেহগনি গাছে জল দেন আইজি। একশো দুঃস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পোশাক, শিশুদের বিস্কুট, চকোলেট দেওয়া হয়। সিআরপি-র ১৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়ান এবং ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের ভলিবল ম্যাচও হয় এ দিন। নিহত জওয়ানদের স্মরণে ভাঁড়ারু থেকে শিলদা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দে স্থানীয় ৭৭ জন যুবক। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার হিসেবে সাইকেল দেওয়া হয়।
শনিবারই পুরুলিয়ার বলরামপুরে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার মিলেছে। এ দিন সাংবাদিকরা তা নিয়ে জানতে চাইলে আইজি বলেন, “এ রকম পোস্টার মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখি যে, সেগুলো প্রকৃতই মাওবাদীদের পোস্টার, না এর পিছনে স্থানীয় কোনও রাজনীতি রয়েছে। পুরুলিয়ার পোস্টারগুলি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।” আইজি আরও জানান, ঝাড়খণ্ডের সীমানা পেরিয়ে মাওবাদীরা বারবার এ রাজ্যে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু সীমানা এলাকায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তল্লাশি-অভিযানের ফলে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy