সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আগামী সোমবার হলদিয়ার রানিচকে প্রকাশ্য সভা করছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সভায় সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব প্রমুখ বক্তব্য রাখবেন। এক সময় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে একচ্ছত্র দাপট ছিল এই শ্রমিক সংগঠনের। রিক্সা ইউনিয়ান, হকার ইউনিয়ান-সহ নানা ক্ষেত্রে সংগঠিত, অসংগঠিত কর্মী মিলিয়ে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার সদস্য ছিল।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা কমতে শুরু করে। দাপট বাড়তে থাকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র। এই অবস্থায়, সিটুর সদস্য সংখ্যা ৬০ থেকে ৬৫ হাজার থেকে নেমে গত বছরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২২ হাজারে এসে ঠেকেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে হলদিয়ায় সিটুর তেমন কোনও কর্মসূচিও দেখা যায়নি।
কেন? সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক সুব্রত পণ্ডা বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে আমরা হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্য সভা করতে পারিনি। সোমবার হলদিয়ায় প্রকাশ্য সভা করতে চলেছি। বন্ধ কারখানা চালু করা, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাজ দেওয়া, হলদিয়া বন্দর বাঁচানো-সহ একাধিক দাবিতে রানিচকে হবে।” সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “কোথাও সন্ত্রাস করেনি তৃণমূল।”
তবে ঘটনা হল, এক সময় হলদিয়ায় যে সব অফিস থেকে সিপিএম এবং সিটু দলের কাজ চালাত সে সব অফিস থেকে তারা কার্যত উত্খাত হয়েছে। হলদিয়ার ক্ষুদিরাম নগরের সিপিএমের জোনাল কমিটির অফিস বর্তমানে লক্ষ্মণ শেঠ প্রতিষ্ঠিত ভারত নির্মাণ মঞ্চের দখলে আছে। রানিচকের শ্রমিক ভবনও এক প্রকার বন্ধ। এই ভবনের ছোট একটি ঘরে সম্প্রতি সিটু কাজকর্ম শুরু করেছে। মঞ্জুশ্রী মোড়ের সিপিএমের জোনাল কোমিটির অফিস বন্ধ।
এ ছাড়াও অনেকগুলি লোকাল কমিটির অফিসও বন্ধ রয়েছে। রাজ্য পালাবদলের পর হলদিয়ায় সিটু প্রকাশ্য সভা করতে পারেনি। তবে হলদিয়ায় দু’একবার সিটু নেতৃত্ব হলের মধ্যে সভা করেছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সিটুর হলদিয়ার সভা তাত্পর্যপূর্ণ, মত রাজনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy