নিখোঁজ ছাত্র ম্যাথু জর্জের হদিশ পেয়েও নাগাল পেল না পুলিশ। হলদিয়ার অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের অর্ন্তধান-রহস্যের তদন্তে পুলিশ অবশ্য নিশ্চিত, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে ম্যাথু। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় তাকে ওড়িশার বালেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকেই ম্যাথু ভুবনেশ্বর যাওয়ার বাস খুঁজেছিল।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ম্যাথু হলদিয়া টাউনশিপ থেকে বাসে দিঘা যায়। সেখান থেকে ওড়িশার চন্দনেশ্বর হয়ে বালেশ্বরে পৌঁছায়। বালেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে এক ব্যক্তিকে ম্যাথু জিজ্ঞাসা করে ভুবনেশ্বর যাওয়ার বাস কোথা থেকে, কখন পাওয়া যায়। বিভ্রান্ত অবস্থায় স্কুলের পোষাকে এই প্রশ্ন শুনে ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়, ছেলেটি হয়ত বাড়ি বা স্কুল পালিয়ে এসেছে। তিনি ম্যাথুকে স্থানীয় বাসিন্দা ভেবে নাম, ঠিকানা ও বাড়ির ফোন নম্বর জানতে চান। খবর দেওয়ার চেষ্টা করেন তার বাড়িতে। কিন্তু ম্যাথু চালাকি করে বাড়িতে ফেলে যাওয়া সিমের নম্বরটি দেয়। ফোন করে তিনি সুইচ অফ পান।
এরই মাঝে সুযোগ বুঝে ম্যাথু পালায় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওড়িশার ওই ব্যক্তি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি (হলদিয়া) বলেন, “ম্যাথুর ফেলে রেখে যাওয়া সিম নিজেদের অন্য মোবাইলে দিয়ে তা চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই ‘মিস কল এলার্ট’ দেখে ওই নম্বরে ফোন করা হয় জর্জ পরিবারের পক্ষ থেকে। তখনই জানা যায় বিষয়টি।” এ দিন অবশ্য জর্জ পরিবারের কেউ ফোন ধরেননি।
কোথায় গিয়েছে ম্যাথু?
পুলিশের অনুমান, ম্যাথুরা যেহেতু আদতে কেরালার বাসিন্দা তাই কোনও কারণে সে হয়ত কেরালাতেই গিয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের অধিকাংশ সেখানেই থাকেন। সোমবার রাতেই ছেলের খোঁজে বালেশ্বর রওনা দেন কে এম জর্জ, পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও হলদিয়া থানার এক সাব ইন্সপেক্টার। তবে সেখানে ম্যাথুর খোঁজ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy