বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের সভায় বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
সমবায়ের মতো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সঙ্গীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে সকলকে নিয়ে এগোতে হবে। হবে। রবিবার মেদিনীপুরে এসে ফের এই বার্তা দিলেন তমলুকের সাংসদ তথা বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। অধিকারী। তাঁর কথায়, “ঋণ দেওয়া কিংবা অনাদায়ী ঋণ আদায় করা, সমবায়ের কোনও ক্ষেত্রেই রাজনীতি দেখা হবে না।” ব্যাঙ্কের ৪৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে এ দিন মেদিনীপুরে আসেন শুভেন্দুবাবু। শহরের মোহনানন্দ হাইস্কুল চত্বরে এই সভায় শুভেন্দুবাবুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, ব্যাঙ্কের সরকার মনোনীত প্রতিনিধি প্রদ্যোৎ ঘোষ, জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিষ্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি মদনমোহন ঘোষ। চেয়ারম্যানের বার্তা, কৃষকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য এই ব্যাঙ্ক অঙ্গীকারবদ্ধ। ক্ষমতা ছড়িয়ে দেওয়া ব্যাঙ্কের প্রাথমিক লক্ষ্য।
তিনি বলেন, “সমবায়ের মঞ্চে আমি ২০১২ সাল থেকেই বলে আসছি, চিটফান্ডে টাকা রাখবেন না। তখন সারদা নিয়ে হইচই শুরু হয়নি। একশো টাকা জমা দিলে ১৫ মাস পর দ্বিগুণ, এটা কী ভাবে সম্ভব? কোনও অঙ্কেই সম্ভব নয়। চিটফান্ডে টাকা রাখলে বিপর্যয় হবেই।” ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের ৪২ তম সাধারণ সভা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে আর সভা হয়নি। আগে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি ছিল বামেদের দখলে। সভা না হওয়ার জন্য এ দিন বামেদেরই দুষেছেন শুভেন্দুবাবু।
শুভেন্দুবাবু বলেন, “৯৯টি সমবায় সমিতি নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। তাদের সক্রিয় করা হবে। আমরা এ বার কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছি।” জঙ্গলমহলের স্কুলগুলোয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে ব্যাঙ্ক উদ্যোগী হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্ক এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করবে বলে জানান শুভেন্দুবাবু। বস্তুত, সাধারণ সভাতেও নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করেন চেয়ারম্যান। তিনি বার্তা দেন, সমবায়ের মতো ক্ষেত্রে কারোর যেন রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতা না থাকে। বুঝিয়ে দেন, সমবায়ের যে সাতরঙা চিন্তাভাবনা রয়েছে, তাকে সামনে রেখেই এগোতে হবে। সামনের দিনে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy