রাজনৈতিক আয়ু অনেক বেশি হলেও ৬৭ বছর বয়সে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন মুকুল রায়। কিন্তু ভোটের পরে দলবদল করায় তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে অনেক বিতর্ক। তৃণমুলে যোগ দিলেও খাতায় কলমে তিনি বিজেপি বিধায়ক। তাই এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে বিরোধী আসনেই বসবেন মুকুল রায়। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি তুললেও বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে হবে মুকুলকে। কিন্তু কোন আসনে? বিধানসভা সূত্রে খবর, গত বিধানসভায় অধিবেশন চলার সময় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী যে ৬৫ নম্বর আসনে বসতেন সেটাই বরাদ্দ করা হতে পারে মুকুলের জন্য।
কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি-র প্রতীকে জিতলেও গত ১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে এসে শাসকদলে যোগ দেন মুকুল। কিন্তু তিনি খাতায় কলমে যেহেতু বিজেপি বিধায়ক তাই বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী আসনেই বসতে হবে তাঁকে। তবে স্পিকার চাইলে তা বদলাতেই পারেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুকুল তেমন কোনও আবেদন জানাননি।
কেন ৬৫ নম্বর আসন? আসলে বিধানসভায় যে আসন বিন্যাস তাতে বিরোধী শিবিরের হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। গত বিধানসভায় বিধায়ক থাকলেও এ বার যাদবপুর আসনে পরাজিত হয়েছেন সুজন। বাম পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে তিনি ৬৫ নম্বর আসনে বসতেন। এ বার শুধু তিনিই নন, বিধানসভায় কোনও উপস্থিতিই নেই সিপিএম তথা বামেদের। জোট সঙ্গী কংগ্রেসেরও একই অবস্থা। তাই ৬৫ নম্বর আসনের অন্য দাবিদার নেই। সাধারণ ভাবে এই আসনটি বরাদ্দ হয় বিরোধী দলের বর্ষীয়ান নেতাদের জন্যই। সেই হিসেবেও একেবারে সামনের সারিতে ৬৫ নম্বর আসনটিই বিরোধী পক্ষের হলেও শাসক দলের কাছের বিধায়ক মুকুলের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।