নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে নানা বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরকার কার্যত জেরবার। এই পরিস্থিতিতে আলু চাষে প্রয়োজনীয় পটাশ সারের কালোবাজারি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়েছে নবান্ন। সারের যাতে কালোবাজারি না হয় সে ব্যাপারে সব জেলাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। তবে এই কালোবাজারির ক্ষেত্রে শুধু ব্যবসায়ীদের একাংশকে সন্দেহের চোখে দেখছে না সরকার। প্রশাসনের সন্দেহ, এই চক্রগুলির সঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের একাংশ জড়িত থাকতে পারেন। তাই সে দিকেও কড়া নজর রেখেছে কৃষি দফতর।
সূত্রের খবর, কালোবাজারি এবং কর্মীদের একাংশের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে একাধিক অভিযোগ পৌঁছেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দুর্নীতি এবং কালোবাজারির প্রবণতা রুখতে আগামী দিনে কড়া পদক্ষেপের কথাও ভাবা হচ্ছে। পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে, একে তো সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল বিদ্ধ হয়েছে। তার উপরে সামনেই লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে সার নিয়ে কালোবাজারি হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তার প্রভাব ভোটে পড়াও অসম্ভব নয়।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পটাশ সারের যা প্রয়োজন তার থেকে অনেক কম সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী দিনে ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র-সহ সার সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করেছে রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ, আগে ওই সারে কেজি প্রতি ভর্তুকি ছিল প্রায় ২২ টাকা। এখন তা দু’টাকার কিছু বেশি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy