নবান্ন। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আর্থিক এবং শিল্প করিডরকে কেন্দ্র করে শিল্প-পরিকাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার।
বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্পের উপযুক্ত প্রায় সাত হাজার একর জমি চিহ্নিত করে সেখানে শিল্পের উপযোগী পরিকাঠামো গড়বে রাজ্য সরকারই। সোমবার এই নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে শিল্প দফতর এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে।
নবান্নের যুক্তি, বিনিয়োগের আগে পরিকাঠামো-সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা একত্রে পেতে চান বিনিয়োগকারীরা। বছর শেষে সম্ভাব্য শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) আগে তা বাস্তবায়িত করতে চাইবে রাজ্যও।
প্রস্তাবিত রঘুনাথপুর-ডানকুনি, ডানকুনি-তাজপুর এবং ডানকুনি-কল্যাণী— এই তিনটি আর্থিক এবং শিল্প করিডরের পাশে তিন ধরনের জমি খোঁজা শুরু হচ্ছে। বড় জমির প্লট এবং বন্ধ সরকারি সংস্থার জমিগুলি একত্রে নির্দিষ্ট হবে বড় শিল্পের জন্য। জমি নিয়েও শিল্প সংস্থা কাজ শুরু না-করলে তাদের কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তুলনায় ছোট জমিতে শিল্পতালুক গড়ার পরিকল্পনা আছে। ওই এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ৭০০০ একর জমি পাওয়া যাবে।
এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় করিডর লাগোয়া জমিগুলিকে সব ধরনের শিল্প পরিকাঠামোর জন্য প্রস্তুত করতে চায় সরকার।” সাধারণ পরিকাঠামোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ, নিকাশি এবং জলের সংযোগ তৈরি করে দেবে রাজ্য। সব জমিই থাকবে নির্দিষ্ট পোর্টালের আওতায়। সেখানে জমির ম্যাপ দেখে পছন্দ করে সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবে বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy