বক্তব্য রাখছেন আব্দুল মান্নান। নিজস্ব চিত্র।
এক বারও নাম করেননি তাঁর।
তবে তাঁর পুরনো সহকর্মীকে বিঁধতেও কসুর করছেন না একেবারে।
মঙ্গলবার শান্তিপুরে কংগ্রেস ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অবস্থান থেকে স্থানীয় পুরপ্রধান অজয় দে’কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। শান্তিপুর পুরসভার সামনে মঞ্চ গড়ে সকালে থেকেই অবস্থান শুরু করেছিল কংগ্রেস। এ দিন দুপুরে সেখানে পৌঁছে ভরা ভাদ্রেই আব্দুল মান্নান শুরু করেন— “এই শান্তিপুরে বিধায়ক ছিলেন অসমঞ্জ দে। তাঁর টানেই মাঝেমধ্যে আসতাম। মারা যাওয়ার কিছু দিন আগে এক সভায় তিনি কি বলেছিলেন জানেন? শান্তিপুরে কংগ্রেসকে কেউ খতম করতে চাইলে সে নিজেই খতম হয়ে যাবে!’’
লক্ষ্যটা যে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অসমঞ্জবাবুর জদলত্যাগী পুত্র অজয় দে, বলে দিতে হয় না। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করছেন— “তৃণমূল দলটা যে কতটা ঘৃণ্য তা আগে বুঝতে পারিনি। ওই দলে আমার কিছু পুরনো সহকর্মী আছেন। যাঁদের সঙ্গে এক দিন আন্দোলন করেছি। এক মঞ্চে সভা সমিতি করেছি। আজ সেটা ভাবতে লজ্জা হয়।”
আক্রমণের সেই তালিকা থেকে রেহাই মেলেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বলছেন, “অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন বিদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কোনও শিল্প আনতে পারবেন কিনা। আমি বলছি, যিনি শিল্প বলতে তেলেভাজা, মুড়ি আর ধুপকাঠি বোঝেন তাঁর কাছে অবশ্য এর বেশি আর কী আশা করব!’’ সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন মৃদু কটাক্ষও, ‘‘ভয় হচ্ছে তিনি না মিউনিখ থেকে ফিরে এসে বলেন, ছোলা ভাজা শুরু করুন। দশতলা বাড়ি হয়ে যাবে।” কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে গত বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছেন অজয় দে। বিরোধী দলনেতা বলেন, “মানুষের প্রতি আস্থা নেই বলেই এমনটা হয়েছে। কিছু কাপুরুষ আর সুবিধাবাদীদের সঙ্গে নিয়ে কাল্পনিক সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। কিন্তু মানুষের মন জয় করতে পারবেন না ওঁরা।”
এ দিন অবশ্য ওই সভায় আরসিপিআই-এর ইয়ার আলি মল্লিক ছাড়া আর কোনও বাম নেতার দেখা মেলে নি। সিপিএমের শান্তিপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুপ ঘোয বলেন, “কংগ্রেসের তরফে এমন কোনও কর্মসূচির কথা আমাদের জানানো হয় নি।” যদিও কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের দাবি, “আমি সব বাম দলকেই এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কেন এলেন না ওঁরা জানি না।”
তবে সিপিএম নেতাদের দেখা না মিললেও হাজির ছিলেন সদ্য সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত শান্তিপুর শহর-২ লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। সোমবার রাতেই তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতী হানা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা তাঁর দরজায় গুলি করে। পরে পুলিশ এসে সেই গুলিও তার খোল উদ্ধারও করেছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy