Advertisement
E-Paper

রাস্তার দাবিতে স্কুল বন্ধ লালগোলায়

জলে ডুবে রয়েছে স্কুলে যাওয়ার পথ। প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনও বিহিত না হওয়ায় গত শুক্রবার লালগোলার চক মহরম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৫ ০২:২৪

জলে ডুবে রয়েছে স্কুলে যাওয়ার পথ। প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনও বিহিত না হওয়ায় গত শুক্রবার লালগোলার চক মহরম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশ। বন্ধ রয়েছে ওই স্কুল চত্বরের আইসিডিএস কেন্দ্র ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও। অভিযোগ, লালগোলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রত্যন্ত ওই গ্রামের এই ঘটনা জেনেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি। এ দিকে ওই প্রাথমিক স্কুল বন্ধ থাকায় সোমবার থেকে পড়ুয়াদের দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ণ শুরু করা যায়নি।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামের একমাত্র এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৫১ জন। শিক্ষক আছেন ৫ জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামে রাস্তার হাল খুবই খারাপ। বর্ষা শুরু হতে সেই রাস্তা কার্যত ডোবার চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, পাশের একটি বিল উপচে জল চলে এসেছে রাস্তার উপরে। ছেলেমেয়েদের কোলে করে স্কুলে পৌঁছে দিতে হচ্ছিল। কিন্তু এ ভাবে আর সম্ভব হচ্ছিল না। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এসারুল শেখের মেয়ে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। এসারুলের কথায়, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো রীতিমতো ঝুঁকির ব্যাপার। ঘটনাটি জেনেও গ্রামে পা পড়েনি প্রশাসনের কর্তাদের।’’ বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাস্তার হাল না ফেরানো হলে স্কুলের তালাও খুলবে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আবু হাওলা জানান, গ্রামে রাস্তা-ঘাটের সমস্যা তো আছেই। কিন্তু স্কুলের রাস্তাটা ডুবে যাওয়াতেই যত সমস্যা। জলের মধ্যে শিশুদের স্কুলে আসাটাও ঝুঁকির। প্রশাসনের সব স্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের বিভাসচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই গ্রামের রাস্তা খুবই খারাপ। স্কুলে যাওয়ার রাস্তাও জলে ডুবে রয়েছে। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে অত টাকা নেই যে গোটা গ্রামের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া সম্ভব।’’ লালগোলার বিডিও স্বপ্নজিৎ সাহা বলেন, ‘‘ওই গ্রামে রাস্তা তৈরির একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তার কাজও শুরু হবে। কিন্তু এ ভাবে স্কুল বন্ধ রাখলে তো পড়ুয়াদেরই ক্ষতি হবে।’’ বিডিও স্পষ্ট জানান, ওই রাস্তার নিশ্চয় সংস্কার হবে। কিন্তু সাত দিন ধরে গ্রামের সব স্কুল বন্ধ হয়ে থাকবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে।

Agitation school student road Lalgola CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy