Advertisement
E-Paper

‘এই অবস্থার জন্য কি পার্থকেই দায়ী করবেন?’ করুণ হাসি দেখা দিল মুখে, কী উত্তর দিলেন অর্পিতা?

আদালত চত্বরে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনার অবস্থার জন্য কি পার্থদা (চট্টোপাধ্যায়)-কে দোষী বলে মনে হয়?’’ কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। তার পর ঠোঁটের কোণে হাসি দেখা গেল তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ১৬:১৩
(বাঁ দিকে) পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দু’বছরেরও বেশি সময় জেলবন্দি। বার কয়েক জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। শুক্রবার নিয়োগ মামলায় আবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুনানি শেষে অর্পিতা আদালত চত্বরে তাঁর জেলজীবন নিয়ে আক্ষেপ করলেন। যদিও কাউকে প্রকাশ্যে তিনি দোষারোপ করতে চাইলেন না।

নগর দায়রা আদালত চত্বরে অর্পিতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনার অবস্থার জন্য কি পার্থদা (চট্টোপাধ্যায়)-কে দোষী বলে মনে হয়?’’ কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। তার পর ঠোঁটের কোণে হাসি দেখা গেল। কষ্ট ঢাকতে চাইলেন! তার পর বললেন, ‘‘কাকে আর দোষ দেব? সব চলছে। ঠিকই আছে।’’ জেলজীবন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে অর্পিতা আরও বললেন, ‘‘জেলের জীবন আর কেমন হয়!’’ যদিও বা কোথা থেকে তাঁর দু’টি ফ্ল্যাটে অত টাকা এসেছিল, তা নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ পার্থ-‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার। স্বল্প কথায় বললেন, ‘‘আদালতেই সব সামনে আসবে।’’ আর এসএসসি মামলার রায়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি যাওয়া নিয়ে অর্পিতার মন্তব্য, ‘‘এত চাকরি যাওয়া দুঃখের। যাদের চাকরি গিয়েছে, তাদের নিয়ে চিন্তা করুন। আমার খারাপ লাগছে। যাদের চাকরি গিয়েছে, তাদের অনেকেই আমার বয়সি।’’

জামিনের বিষয় নিয়েও সাংবাদিকেরা অর্পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন। তা নিয়েও নিরুত্তর ছিলেন অর্পিতা। জামিন নিয়ে একই প্রশ্ন করা হয়েছিল পার্থকেও। জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের দায় কি তাঁর নয়? পার্থও তখন নিরুত্তরই ছিলেন।

গত ২০ এপ্রিল এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।

অন্য দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ। ইডির গ্রেফতারির পর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘ঠিকানা’ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর মন্ত্রিত্ব গিয়েছিল। তৃণমূল তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করে। অন্য দিকে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে ৪০ কোটিরও বেশি টাকা পায় ইডি। সেই থেকে গ্রেফতার তিনিও। শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয় নিয়োগ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ, তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা, মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে।

Arpita Mukherjee Partha Chatterjee Recruitment Case Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy