থানার ওসি শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। অভিযোগ দায়ের করতে গেলে নেন না। আবার তা নিলেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। চাপড়া ওসি মানস চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেমনিই অভিযোগ সিপিএমের। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে সেই মর্মে একটি অভিযোগও দায়ের করে তারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘বেতবেড়িয়া, হাঁটরা, বড় আন্দুলিয়া, বাঙালঝি এলাকায় সমাজবিরোধীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দলের কর্মীদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘চাপড়ায় নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই। ওসি সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য মানস চৌধুরীকে বদলি করা হোক।’’
সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে পঞ্চায়েত ভোটে বেতবেড়িয়ায় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্কুল ভোটে ওই গ্রামের একজন খুন হন। শ’দেড়েক মানুষ গ্রামছাড়া। প্রকাশ্যে সমাজবিরেধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টে শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে চাপড়ায় একটি শিশু অপহৃত হয়। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় এক তৃণমূল নেতার। সেই শিশুর খোঁজ আজও মেলেনি। সেই সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
বাদলাঙ্গিতে জনাব শেখ নামে এক সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা জাবের শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। একই ভাবে আরও অনেক ক্ষেত্রে সিপিএম কর্মীরা আক্রান্ত হলেও চাপড়া থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। সুমিতবাবু বলেন, ‘‘আমরা বিস্তারিত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জনিয়েছি। এখন দেখার নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ করে।’’
যদিও এ বিষয়ে পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচন আধিকারিক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগের কথা জানা নেই। অভিযোগ হয়ে থাকলে নির্বাচন কমিশন যা নির্দেশ দেবে সেই মতোই পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy