Advertisement
১১ জুন ২০২৪
BJP

বুথস্তরে সংযোগ চাইছে বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনের ঢেউ চলে গিয়েছে। এ বার পুরভোটকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব দলই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সম্রাট চন্দ 
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৫
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের ঢেউ চলে গিয়েছে। এ বার পুরভোটকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব দলই। আসন্ন পুরভোটে বুথস্তরে সংগঠনের উপরে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই। এর আগে কোনও পুরভোটে শান্তিপুরে বিজেপি সে ভাবে ছাপ ফেলতে না পারলেও লোকসভা ভোটে এগিয়ে থাকায় তারা বাড়তি আত্মবিশ্বাসী। শাসক দলও তৃণমূল স্তরে জনসংযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে।

এই বছরেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে শান্তিপুর পুরবোর্ডের। ২৪টি ওয়ার্ড-বিশিষ্ট শান্তিপুর পুরসভা জেলার বড় পুরসভাগুলির একটি। সেই পুরবোর্ড নিজেদের হাতে রাখতে স্থানীয় স্তরে সংগঠনের উপরেই জোর দিচ্ছে সব মহল। ১৯৯০ সাল থেকে শান্তিপুরে পুরপ্রধানের পদে রয়েছেন অজয় দে। আদতে কংগ্রেস নেতা হলেও ২০১৩ সালের শেষে একাধিক কাউন্সিলার নিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। পাঁচ বছর আগের পুরভোটেও জয়ী হন। সে বারই প্রথম শান্তিপুরে তৃণমূল জয়ী হয়। তবে চার বছর আগের বিধানসভা ভোটে হারতে হয়েছে তাঁকে।

গত লোকসভা ভোটে রানাঘাট মহকুমার অন্য কিছু পুর এলাকার মতো শান্তিপুরেও বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। এ বার তাই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই পদ্ম শিবির পুরভোটে ঝাঁপাবে। সম্প্রতি তৃণমূলের মতো তাদেরও সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হয়েছে। বদল হয়েছে শান্তিপুর শহরের দুই মণ্ডল সভাপতি। বুথস্তরে জনসংযোগের উপরেই জোর দিচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে মূলত অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগ তৈরির উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন নানা পেশার মানুষ। ইতিমধ্যে বুথস্তরে দলের কর্মীদের এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পুরভোটের আগেই তাঁদের দলের নানা কাজে যুক্ত করার জন্যও উদ্যোগী হচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

বিজেপির শান্তিপুর শহর ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সুব্রত কর বলছেন, “সমাজের নানা পেশার মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা এবং তাঁদের দলের কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগী হচ্ছি আমরা। পুরভোটে অনুন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমরা প্রচারে নামব।” তাঁদের দাবি, লোকসভা ভোটের ফলে স্পষ্ট, এখানে তাঁদের পালেই হাওয়া রয়েছে।

তৃণমূলও অবশ্য বুথস্তর থেকেই জনসংযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে। ওয়ার্ড এবং বুথ সভাপতিদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই। উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি তো আছেই।

শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে পাল্টা দাবি করেন, “আমাদের আগাগোড়াই ধারাবাহিক জনসংযোগ রয়েছে। বুথস্তরে আগে থেকেই কমিটি রয়েছে। ওদের নিচুতলায় লোক নেই, তাই এ সব ভাবতে হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Municipal Election BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE