Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫

উত্তাপে নিরুত্তাপ বাম-বন্‌ধ

বন্‌ধের সমর্থনে বামেদের প্রচার শুরু হয়েছিল কয়েক দিন ধরেই। জেলায় তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল দিন কয়েক ধরেই। মঙ্গলবার সেই ভারত বন্‌ধের প্রথম দিনে কোথাও জনজীবন থাকল আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক।

বন‌্থ সমর্থকদের মিছিল।

বন‌্থ সমর্থকদের মিছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:১৬
Share: Save:

বন্‌ধের সমর্থনে বামেদের প্রচার শুরু হয়েছিল কয়েক দিন ধরেই। জেলায় তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল দিন কয়েক ধরেই। মঙ্গলবার সেই ভারত বন্‌ধের প্রথম দিনে কোথাও জনজীবন থাকল আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক। কোথাও বা তপ্ত হল পরিবেশ।
বন্‌ধের চেনা ছবি মেনে, এ দিন, জেলায় বেসরকারি যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলও ছিল বন্ধ। যেগুলি সরকারি নির্দেশে খোলা ছিল, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আনাগোনা ছিল হাতে গোনা। লাইন জুড়ে অবরোধকারীদের ট্রেন রোখার ঘটনাও রয়েছে।
বন্‌ধ সমর্থকদের দাবি, এ দিন মুর্শিদাবাদের মানুষ স্ততঃস্ফুর্ত ভাবে বন্‌ধ সমর্থন করেছেন। ফলে শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও বন্‌ধ হয়েছে সর্বাত্মক। পাল্টা দাবি তৃণমূলের, বন্‌ধ আদৌ হয়েছে বলেই বোঝা যায়নি জেলায়। আর পাঁচ দিনের মতো এ দিনও ছিল স্বাভাবিক একটা দিন।
তবে, তারই মধ্যে দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। বেলা সকাল ১০ টা নাগাদ দৌলতাবাদের কলাডাঙা ঘোষপাড়ায় বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের গন্ডগোল শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানে জোর করে দোকান বন্ধ করছিল বন্‌ধ সমর্থকেরা। দলীয় অফিসের সামনে বসে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেন। তখনই বন্‌ধ সমর্থকরা তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা চালায়। সেখানে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আসিফ আহম্মেদ-সহ বেশ কিছু কর্মী আহত হন। আসিফ বলেন, ‘‘সিপিএমের লোকজন পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। তাতে আমাদের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। পার্টি অফিসের সামনে থাকা চেয়ার টেবিল গুঁড়িয়ে দিয়েছে ওরা।’’
সিপিএমের পাল্টা দাবি, তাদের মিছিলের উপরেই শাসকদল হামলা করেছিল। পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়। সেই ঘটনার পর থেকে বাম সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছে বলেও সিপিএমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ দুই সিপিএম কর্মীকে আটকও করেছে।
অন্য দিকে, বাম সমর্থকেরা বেলডাঙা বাজার ও লাগোয়া হাটপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করতে বলেন। তাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বন্‌ধ সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রানিনগরে বন্‌ধ সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ক্ষেতমজুর সংগঠনের ব্লক সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের পিকেটিংয়ের ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করেছে। সেই ঘটনায় আমাদের নেতা শাজাহান আলি ও আরশাদ শেখ আহত হয়েছেন।’’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বহরমপুরে সরকারি বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক, তবে বেসরকারি বাসের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। নিরুপায় বহু যাত্রী ট্রেকার-অটো-টোটোর ভরসায় পাড়ি দিয়েছেন গন্তব্যে। স্কুল, কলেজ উপস্থিতি কিছুটা হলেও কম ছিল। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলায় ৯৮.৬ শতাংশ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বহরমপুরে জেলা আদালত খোলা ছিল। সরকারি আইনজীবী ও বিচারকেরা উপস্থিত থাকলেও অন্য আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সংখ্যা বেশ কম ছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Bandh Bharat Bandh Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy