Advertisement
২১ মে ২০২৪
Coronavirus

বাজারে ভিড় হলে উদ্বেগে বিক্রেতারা

নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভিড় থেকে দূরে থাকার যে কোনও বিকল্প নেই, লাগাতর প্রচারে তা ক্রমশ বুঝতে পারছেন মানুষ। সেই জায়গা থেকেই এবার আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। 

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৬:৩৯
Share: Save:

ক্রেতার ভিড়ে ভয় পাচ্ছে বাজার! ব্যাপারটা উলটপুরাণের মতো শোনালেও লকডাউনের মধ্যে বাজার উপচে পড়া ক্রেতার ভিড়ে আদৌ খুশি নন ব্যবসায়ীরা। উল্টে তাঁরা বাজারে প্রচুর মানুষের দীর্ঘ জমায়েতে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে কাঁটা।

নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভিড় থেকে দূরে থাকার যে কোনও বিকল্প নেই, লাগাতর প্রচারে তা ক্রমশ বুঝতে পারছেন মানুষ। সেই জায়গা থেকেই এবার আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।

শান্তিপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারটি বসে গোবিন্দপুরে। বুধবার ভোর ৫টা থেকে যে ভাবে খুচরো ক্রেতার দল পাইকারি দোকানগুলিতে হামলে পড়ে তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বিষয়টি জানান শান্তিপুর কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিকে। সমিতির সম্পাদক তারক দাস বলেন, “পাইকাররা বলছেন ১৫-২০ জন করে খুচরো বিক্রেতা তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘিরে থাকছেন, তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। ওই খুচরো বিক্রেতারা আনাজ বা মুদিখানার দ্রব্য কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন।’’ এই অবস্থায় পাইকারদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে গোবিন্দপুর পাইকারি বাজারে পুলিশ থাকবে।

বাজারে ভিড়ের এই ছবি প্রথম দেখা গিয়েছিল সোমবার। সে দিন বিকেল ৫টা থেকে লকডাউন শুরুর আগে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাজারে। মঙ্গলবার ছবিটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্ত মঙ্গলবার রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণার পর ফের ‘ওয়ার্ম আপ’ শুরু করে দেন মানুষ। ভোর হতে না হতে ফের বাজারে-দোকানে সোমবারের অ্যাকশন রিপ্লে। তবে এ দিন শুধু কাঁচাবাজার বা মুদিখানা নয়, লম্বা লাইন চোখে পড়েছে বিভিন্ন ওষুধের দোকানেও। হুড়োহুড়ি করে ওষুধ কেনার প্রবণতা দেখে অবাক ওষুধ বিক্রেতারাও।

ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিডিএ-র তপন সাহা বলেন, “আসলে লোকে ভয় পাচ্ছে। ভাবছে হয়ত ওষুধ পাওয়া যাবে না। চাহিদা বেশি সুগার, প্রেশার, গ্যাসের ওষুধের। তবে কলকাতার মূল ওষুধ কারবারিরা অনেকেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই কিছু দিনের মজুত থাকলেও দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য ওষুধ নিয়ে না ভাবলে অসুবিধা হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” মানুষ ভিড় জমালেও এ দিন জিনিসপত্রের দাম ছিল স্বাভাবিক। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রশাসনের তৎপরতায় ক্রেতা বিক্রেতা দু’পক্ষই ছিল সচেতন। ক্রেতাদের অপ্রয়োজনে বেশি জিনিস না কিনতে এবং বিক্রেতাদের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ দিনও বিভিন্ন জায়গায় মাইকে প্রচার চলেছে। পথে নেমেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE