পদ্মফুল বিক্রি হচ্ছে চাকদহের শিমুরালি বাজারে। —নিজস্ব চিত্র।
শিমুরালি বাজারে মাতৃমন্দিরের সামনে শ’খানেক পদ্মফুল বিক্রি করছিলেন বছর তিরিশের এক যুবক। যার মধ্যে বেশির ভাগই ৫০ টাকা আর সামান্য কিছু ফুল চল্লিশ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন তিনি। এক মহিলা পদ্মফুল কিনতে এসে আঁতকে ওঠেন। বলেই ফেলেন, ‘‘পদ্মফুলের এত দাম? এর আগে কোনও দিন শুনিনি।’’
মহিলার কথা শেষ হওয়ার আগেই ওই যুবক বলে ওঠেন, ‘‘পদ্মফুল কোথায় বাজারে? ফুলবাজারে সে ভাবে চোখেই পড়ল না। শ’পাঁচেক ফুল কিনব বলে গিয়েছিলাম। দাম শুনে একশো ফুল নিয়ে এসেছি। এই দামে বিক্রি করতে না পারলে দু'-চার টাকা চোখে দেখা যাবে না।’’
শুক্রবার, লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন সকালে বাজারে ফুলের দাম ছিল আগুন। চাকদহ থানার শিমুরালি বাজারে এক-একটা পদ্মফুল কেউ ৫০ টাকা দরে, আবার কেউ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তবে, গাঁদা ফুলের দাম তেমন একটা বেশি ছিল না। অধিকাংশ ফুল বিক্রেতাই প্রতি পিস গাঁদা ফুলের মালা ১০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
ফুলের আমদানি-রফতানি করেন উত্তরপাড়া হালালপুরের বাসিন্দা অনন্ত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে বীরভূম জেলার সাইথিয়ায় পদ্মফুলের চাষ বেশি হয়। এ ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর এবং বর্ধমানের একটা অংশে চাষ হয়ে থাকে। এ বার ওই সব জায়গায় ফুল হয়নি বললেই চলে। বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করতে হয়েছে। বিশেষ করে, চেন্নাই। যে কারণে এ বার পদ্মফুলের দাম অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি ছিল।’’
নোকারি ফুল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যোতির্ময় মজুমদার বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে যে পরিমাণ পদ্মফুলের প্রয়োজন হয়, সেটা আমদানি হয়নি। যে কারণে ক্রেতাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। সে ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় এই রাজ্যে সে ভাবে পদ্মফুল উৎপাদিত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy