(বাঁ দিকে) নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং নির্দল প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর পর সমনামের ধাঁধার চক্করে পড়লেন নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারও! তাঁর বিরুদ্ধে ভোট ময়দানে নামতে আর এক জগন্নাথ সরকার মনোনয়ন জমা দিলেন।
বহরমপুরে অধীরের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন এক অধীর। পুরো নাম অধীর স্বর্ণকার। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে সেলিমের বিরুদ্ধে আর এক সেলিম মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এই দুই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে বাম, কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, মানুষকে নামের গেরোয় ফেলাই উদ্দেশ্য। যাতে কিছু মানুষ ভুলবশত ‘নকল’ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেন। ভোট ভাগাভাগিরই সুফল তুলতে চাইছে তৃণমূল। শাসকদল অবশ্য এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু তরজা থামেনি। এ বার একই পরিস্থিতির শিকার হলেন পদ্মের জগন্নাথ।
রানাঘাট কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আর এক জগন্নাথ সরকার। তিনি শান্তিপুরের বাসিন্দা। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হিরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সব্জির আড়তে কাজ করেন এই জগন্নাথ। গত তিন দিন ধরে তিনি আড়তেই যাননি। আড়তদার বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বাড়িতে গিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি। বুধবার প্রকাশ্যে এসে সেই জগন্নাথ মনোনয়ন জমা দিলেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে নগদ তিন হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাঙ্কে রয়েছে সাকুল্যে তিন হাজার ৫৮৭ টাকা। হঠাৎ কেন ভোটে দাঁড়াতে ইচ্ছে হল? জগন্নাথের সপাট জবাব, ‘‘ইচ্ছে হল, তাই।’’
বুধবার প্রতিপক্ষ সমনামী প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির জগন্নাথ। তিনি বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের দুষ্টুমি, ছিঁচকে শয়তানি । আমার বিরুদ্ধে তৃণমূল চক্রান্ত করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমার নামের এক জনকে দাঁড় করিয়েছে।’’ এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘‘নির্বাচনে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। তা বিজেপির জগন্নাথ সরকার হোক বা অন্য জগন্নাথ সরকার। এখানে তৃণমূলের কী করার আছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy