বাড়ির কর্তা কে, বয়স কত, কী করেন, আর কে কে আছে পরিবারে... বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে খুঁটিনাটি সব তথ্য সংগ্রহে নেমেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তৈরি হচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দাদের ‘ডেটা ব্যাঙ্ক’।
জেলা পুলিশের তরফে সম্প্রতি সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি থানা এলাকায় কর্মরত গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীদের হাতে রীতিমতো ছাপানো ফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে সেই ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। পরিবারের প্রধানের নাম, বাবার নাম থেকে শুরু তার পেশা, কত জন সদস্য, তাদের নাম ও পেশার নথিভূক্ত হচ্ছে ওই ফর্মে।
এই কাজে সহযোগিতা করছেন থানার পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়াররা। জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সীমান্তবর্তী প্রতিটি পরিবারের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে জেলা স্তরে এক জায়গায় করা হবে। যাতে কোনও কারণে প্রয়োজন পড়লেই সীমান্তের সেই সংশ্লিষ্ট পরিবার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য হাতের কাছে পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এই তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সীমান্তের গ্রাম ও পরিবারগুলির উপরে নজরদারিও সহজ হবে বলেই মনে করছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। তবে তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি প্রথম হচ্ছে তা নয়। আগেও একাধিকবার সীমান্তে নজরদারি চালাতে এ কাজ করা হয়েছে। গোয়েন্দার দাবি, জঙ্গি হামলার পরে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করায় সন্ত্রাসবাদীদের অনেকেই সীমান্ত পার হয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর আছে। গোয়েন্দাদের কথায়, “প্রতিবেশী বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ফের কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy