নালায় এ ভাবেই জমে থাকে আবর্জনা। —নিজস্ব চিত্র।
নির্দিষ্ট জায়গায় নোংরা ফেলার অনুরোধ জানিয়ে নানা জায়গায় হোর্ডিং লাগিয়েছে পুরসভা। কিন্তু শহরবাসী তাতে হুঁশ নেই। ক্যারিব্যাগ থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের বোতল, থার্মোকলের থালা বা বাড়ির অব্যবহৃত জিনিসপত্র এসে পড়ে নিকাশিনালায়। কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার হয় না নিকাশিনালা। জল উপচে রাস্তার উপর উঠে আসে। সমস্যায় পড়ছেন পথচলতি মানুষ। কৃষ্ণনগর শহরের রাজা রোড থেকে শুরু করে বৌবাজার, মঙ্গলাপাড়া, পল্লিশ্রী, অরবিন্দ রোড, নগেন্দ্রনগর, শরৎ সরণী, বৈষ্ণবপাড়া, নতুনবাজার, রায়পাড়া, রায়পাড়া-মালিপাড়া সর্বত্রই একই চিত্র।
কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান অসীমকুমার সাহা বলেন, “মানুষ যাতে নোংরা আবর্জনা নিকাশি নালায় না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন সে বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও লোকজন নিকাশিনালায় সে সব ফেলেন। যার ফলে নিকাশি নালা মজে যাচ্ছে।’’
কৃষ্ণনগরের হুগনিতলা থেকে বেলেডাঙা মোড়, রাজারোডের দু’ধার, মঙ্গলাপাড়া, শরৎসরণী, বৌবাজার, রায়পাড়া, নগেন্দ্রনগর, পল্লিশ্রী, চৌধুরিপাড়া সর্বত্রই নিকাশিনালায় প্লাস্টিকের সামগ্রী থেকে শুরু করে নোংরা আবর্জনা চোখে পড়বে। শুধু তাই নয়, বেজিখালি খাল, অঞ্জনা খাল-সহ বড় নিকাশিনালাও নোংরা আবর্জনায় মজে গিয়েছে। ফলে অনেক এলাকায় ছোট ছোট নিকাশিনালায় নোংরা জল চলাচলে বাধা পাচ্ছে।
কৃষ্ণনগর পুরসভার বৈষ্ণবপাড়ার এলাকায় বাবন দাস বলেন, ‘‘নালা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশামাছির উপদ্রব হয়। কোথাও নালা উপচে পড়ে। সেই নোংরা জল ঘেটে যাতায়াত করতে হয়। আমরা চাই নালা নিয়মিত পরিষ্কার করা হোক।”
শহরের নতুন বাজারের ব্যবসায়ী সুদেব পাল, বলাই পাল বলেন, “বর্ষাকালে নালার জল বাজারে ঢুকে পড়ে। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়।’’
শহরের শরৎপল্লির এক ব্যবসায়ী জানান, শুধু পুরসভার ওপর দোষারোপ করলে হবে না। অনেকেই বাড়ির নোংরা আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে নিকাশিনালায় ফেলেন। ফলে নিকাশিনালা মজে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাসিন্দাদেরও সচেতন হওয়া দরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘূর্ণির এক বধূ বলেন, ‘‘শহরের অন্যান্য এলাকায় নোংরা নেওয়ার গাড়ি এলেও এ পাড়ায় আসে না। ফাঁকা জায়গায় নোংরা আবর্জনা ফেলি। সেই নোংরা আবর্জনা অনেক সময় কুকুরে টেনে নিয়ে গিয়ে নিকাশিনালায় ফেলছে। এলাকায় একটি ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।’’
কৃষ্ণনগর পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন সাহা জানান, সাফাই কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নোংরা তোলার কাজ শুরু করা যায়নি। সম্প্রতি কর্মীর নিয়োদের অনুমোদন মিলেছে। তা পেলেই বাকি ওয়ার্ডেও বাড়ি বাড়ি নোংরা তোলার কাজ শুরু হবে। তা ছাড়াও শহরের নানা এলাকায় ১৯টি কন্টেনার রয়েছে যেগুলিতে আবর্জনা ফেলা হয়। আরও ১০টি কন্টেনার আনা হবে। তবে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy