Advertisement
০২ মে ২০২৪

টোটোতে প্রচার, বিতর্ক কল্যাণীতে

এ বার কল্যাণীতে প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতের রাস্তাই নিল তৃণমূল। শুক্রবার একটি টোটোতে তৃণমূলের প্রার্থীর ফ্লেক্স লাগানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, টোটো চালকের কাছে বৈধ অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের কর্মীরা তা খুলে নেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে মারধরও করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪২
Share: Save:

এ বার কল্যাণীতে প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতের রাস্তাই নিল তৃণমূল। শুক্রবার একটি টোটোতে তৃণমূলের প্রার্থীর ফ্লেক্স লাগানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, টোটো চালকের কাছে বৈধ অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের কর্মীরা তা খুলে নেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে মারধরও করেন। প্রতিবাদে তৃণমূল সমর্থিত শ’দেড়েক টোটো চালক মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে এসে অবস্থান শুরু করেন। তৃণমূল নেতৃত্বও বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে সিপিএমের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার পর তৃণমূল নেতৃত্ব এই কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানান। টোটোতে রাজনৈতিক প্রচারের ফ্লেক্স লাগানো নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, পর্যবেক্ষকের ব্যাখ্যায় তা কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে টোটো চালককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কল্যাণীর মহকুমাশাসক স্বপন কুণ্ডু।

টোটো চালক পরেশ বারুই জানিয়েছেন, এ দিন তিনি ঘোষপাড়া রেল গেট থেকে যাত্রী নিয়ে সেন্ট্রাল পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন প্রশাসনের কর্মীরা। তাঁর টোটোতে তৃণমূল প্রার্থীর ফ্লেক্স লাগানো ছিল। প্রশাসনের কর্মীরা তার জন্য অনুমতিপত্র দেখতে চান। তিনি বলেন, অনুমতিপত্র তাঁর সঙ্গে নেই। তাঁকে ফ্লেক্সটি খুলে ফেলার দির্দেশ দেন সরকারি কর্মীরা। অভিযোগ, তিনি যখন সেটি খুলছিলেন, সেই সময় সরকারি কর্মীদের একজন তাঁকে মারধর করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরই ওই টোটো চালক তৃণমূল নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানান। দুপুরে টোটো চালকেরা মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন বেছে বেছে তৃণমূলের ফ্লেক্সই খুলছে। অভিযোগ জানানোর জন্য মহকুমাশাসকের অফিসে আসেন তৃণমূলের কল্যাণী ব্লক সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায়। সেই সময় মহকুমাশাসক অফিসে ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ জমা দিয়ে অরূপবাবু ফোনে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, প্রশাসনের একটি অংশ প্রকাশ্যে সিপিএমের হয়ে কাজ করছে।

এ রকম চলতে থাকলে তারা অসহযোগিতার রাস্তা নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের পথে যাবেন। এর পরেই অরূপবাবু পর্যবেক্ষক সুনীল মধুকররাও কেন্দ্রেকরের কাছে যান।

অরূপবাবু জানান, প্রশাসন বলছে টোটো বা রিকশাতে প্রচারের ফ্লেক্স লাগালে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। তাঁরা টোটো চালকদের কাছ থেকে সম্মতিপত্র নিয়ে রেখেছেন। তার পরেও প্রশাসন টোটো চালকদের হেনস্থা করছে। বাড়ির মালিকের লিখিত সম্মতি থাকার পরেও প্রশাসন তাদের প্রচারের দেওয়াল জোর করে মুছে দিয়েছে।

পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, চালকের সম্মতি থাকলে টোটোতে প্রচারের ফ্লেক্স লাগানোতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে ওই ফ্লেক্সের খরচ প্রার্থীর খরচের তালিকায় যুক্ত হবে। আর প্রচার মিছিলে টোটো ব্যবহার করলে, তার ভাড়া ভোটের খরচে যুক্ত হবে।

মহকুমা শাসক স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। তবে প্রশাসন জোর করে কোনও দেওয়াল মোছেনি। আর কাউকে মারধরও করা হয়নি। অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারেন। কিন্তু অভিযোগ সঠিক নয়।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

election campaign Toto
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE