ইঞ্চি দশেক ফাঁক— আর তাতেই ছিন্ন হয়ে গিয়েছে নদিয়া-হুগলি চলাচলের মগরা-কল্যাণী রাজ্য সড়ক।
ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর সেই ফাটল মেরামত করতে আপাতত একটি অস্থায়ী ইস্পাতের পাটাতন বসিয়েই কাজ সারছেন বাস্তুকারেরা।
আজ, মঙ্গলবার থেকে সেই কাজ শুরু হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বস্তির বিষয় একটাই, কল্যাণী-মগরার মধ্যে সংযোগকারী গঙ্গার উপর এই সেতুর স্তম্ভের কোনও ক্ষতি হয়নি। আগামী দশ দিনের মধ্যে সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি ফের ছুটবে বলেও আশ্বস্থ করছেন তাঁরা।
শনিবার ভোরে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর কল্যাণী প্রান্তের ২ এবং ৩ নম্বর স্তম্ভের উপরের গার্ডারে ফাটল ধরা পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাটল বাড়তে থাকে। বেশ কয়েক ইঞ্চি বসে যায় সেতুর একটি প্রান্ত। সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পরেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থাকে ইতিমধ্যেই সেতু মেরামতির বরাত দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার কর্মীরা সোমবার ঘটনাস্থ ঘুরে দেখেন। আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত অংশের উপরে ইস্পাতের কাঠামো তৈরি করে তার উপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেতুর স্তম্ভের উপরে থাকে বিয়ারিং প্লেট। গার্ডারকে ধরে রাখতে বিয়ারিং প্লেটের উপর থাকে পেডেস্টাল। সেতুর ক্ষেত্রে বিয়ারং প্লেট সরে গিয়ে পেডেস্টালটিই ভেঙে গিয়েছে। সেই জন্যই গার্ডারের একটি দিক বসে গিয়ে ওই বিপত্তি। এর সঙ্গে সেতুর স্তম্ভের ক্ষতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিশেষজ্ঞদের মত, সেতুর স্তম্ভ দু’ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে— এক, সে’টি হেলে পড়তে পারে। দুই, সম্ভাবনা রয়েছে ভেঙে পড়ার।
তবে, বড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আপাতত সেতুর স্তম্ভ হেলে বা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যে সংস্থা সেতু মেরামতের কাজ করছে, সেই দলের এক বিশেষজ্ঞ দেবব্রত দাস জানান, যে গার্ডারটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তার উপর ইস্পাতের কাঠামো তৈরি করে দেওয়া হবে। দিন দশেকের মধ্যেই ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে, পন্যবাহী বড় গাড়ি বেইলি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy