প্রতীকী ছবি।
দুয়ারে ইদ। কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজোও। জোড়া উৎসবের মুখে নাওয়া খাওয়ার সময় পান না ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বার সেই ব্যস্ততা উধাও। জিএসটি-র ধাক্কায় বাজার যেন ধুঁকছে।
বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, রানাঘাটের বড় দোকান, শপিং মলে সন্ধ্যায় শহুরে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু মাঝারি, ছোট কিংবা ফুটপাতের দোকানের ছবিটা ঠিক উল্টো। সকাল সকাল দলবেঁধে কেনাকাটা করতে আসেন যে সব লোকজন, তাঁদের দেখা নেই। অন্য বার পুজোর এক মাস আগেই পুজোর জিনিসপত্র মজুত করে ফেলেন বিক্রেতারা। এ বার তাঁদের অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখনও পুজোর গন্ধ আসেনি।
ব্যবসায়ীরা আঙুল তুলছেন সদ্য চালু হওয়া জিএসটির দিকে। নতুন এই কর ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। বণিক মহলের বড় একটা অংশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় জিএসটি তাঁদের পক্ষে ভাল না মন্দ। প্রয়োগের জটিলতায় জিএসটি ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের ব্যবসায়ীর কাছেই একটা ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশায় ঢেকে আছে বাংলার উৎসবের বাজার। সেই ধোঁয়াশায় ঢেকে আছে বাংলার উৎসবের বাজার।
পুজো-ইদের বাজারের সঙ্গে জিএসটির সম্পর্ক কী? সমস্যাটাই বা কোথায়? নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা জানান, নতুন এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকেই প্রায় সব ধরনের উৎপাদন কমে গিয়েছে। বস্ত্র থেকে প্রসাধন সামগ্রী, মুদিখানা থেকে মিষ্টান্ন—বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গিয়েছে। এর ফলে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। এখন এই বর্ধিত দাম মানুষ কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা সংশয়ে।
মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী শঙ্কর মণ্ডল ও নবদ্বীপের পার্থ দেবনাথেরা জানাচ্ছেন, এই সময় পাইকারি বাজারে যে ভিড়টা থাকে, এ বার তা নেই। শঙ্করের কথায়, “সমস্যাটা শুরু হয়েছে সেই নোট বাতিলের সময় থেকে। তারপর একে একে জিএসটি, খুচরো সমস্যায় আমারা রীতিমতো নাজেহাল।”
মুর্শিদাবাদ চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক কল্যাণ সাহা বলেন, “জিএসটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।’’ সব মিলিয়ে ইদ-পুজোর বাজারের অবস্থা ভাদ্রের মেঘের মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy