মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতাদের নাম করে করে তাঁদের ‘যাবতীয় কৃতকর্মের’ জন্য সিবিআই ও ইডি’র তদন্তের জন্য প্রস্তুত থাকতে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার জঙ্গিপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের সমর্থনে প্রচার করতে সুতির আহিরণে এসেছিলেন শুভেন্দু। সভায় তিনি বলেন, “আমি নাম করে বলছি, খড়গ্রামের আশিস মার্জিত আপনি কী করেছেন জীবন সাহার সঙ্গে, তা আমি জানি। এই যে জীবন সাহা চাকরিগুলো বিক্রি করেছেন, আশিস মার্জিত (খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক) আর কানাই মণ্ডল (নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক) তাঁর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।’’ এখানেই না থেমে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘রঘুনাথগঞ্জের এক হাফ মন্ত্রী গরু পাচার মামলায় দু’বার সিবিআইয়ের অফিস থেকে ঘুরে এসেছেন। শমসেরগঞ্জের বিধায়কও ঘুরে এসেছেন। জঙ্গিপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী-বিধায়কও লুকিয়ে লুকিয়ে কলকাতা ও দিল্লিতে অনেক অফিস থেকে ঘুরে এসেছেন। সুতির বিধায়কও তাই। এখানে বদ-রক্ত যদি বের করতে শুরু করি, সবাই জেলের ভিতরে চলে যাবেন।’’ আরও বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরে কে একজন সুকান্ত চৌধুরী আছেন উপ পুরপ্রধানের ভাই। তিনি নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে ধমকাচ্ছেন। বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলকে দেখেও শিক্ষা হয়নি?’’ দিনকয়েক আগে শক্তিপুরের ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, “রামনবমীর মিছিলে পাথর ছুড়েছে তৃণমূলের লোকেরা, কোনও মুসলিম এটা করেনি।’’ এরপর তৃণমূলের এক বিধায়কের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘যেদিন এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, প্রথমে তাঁকে ধরে জেলের ভিতরে ঢোকাব।’’
এরপর কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জিতে বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে নাম লেখালেন। ওটা কোনও দল নয়, একটা কোম্পানি। ওই দলে নাম লেখালেন বাইরন। তাঁর বাড়ির লোক নির্দল প্রতীক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বলছেন, খলিলুর রহমানকে হারাতে হবে। আবার সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা সাজাহান বিশ্বাস আইএসএফের প্রার্থী। তিনিও বলছেন খলিলুর রহমানকে হারাতে হবে।’’ তৃণমূলের জঙ্গিপুরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় আলটপকা কথা বলায় অভ্যস্ত যাঁরা তাঁদের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে স্রেফ বাজার গরম করতে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)