জল বণ্টন চুক্তি পর্যালোচনায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
ফরাক্কা থেকে গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা করতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫ দিনের বৈঠক শুরু হল মঙ্গলবার ফরাক্কায়। ৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক।
১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে শুখা মরশুমে গঙ্গার জল বণ্টনে যে চুক্তি হয়, তা খতিয়ে দেখতে প্রায় প্রতি বছরই দুই দেশের মধ্যে এই ধরনের বৈঠক হয়ে থাকে। এটি দুই দেশের মধ্যে ৭৮ তম বৈঠক বলে জানানো হয়েছে। এই জল বণ্টন চুক্তি শুরু হয় প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। গঙ্গার জল প্রবাহ অনুযায়ী ১০ দিন অন্তর গঙ্গার জল বণ্টন করা হয় দুই দেশের মধ্যে। সবটাই নিয়ন্ত্রিত হয় ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে।
ভারতের তরফে আলোচনায় রয়েছেন জল সম্পদ মন্ত্রকের ৪ জন পদস্থ কর্তা। বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ৫ জনের প্রতিনিধি দল।মঙ্গলবার জলচুক্তি বিষয়ক পর্যালোচনা বঠক শুরুর আগে দুই দেশের প্রতিনিধিরা ফিডার ক্যানালের হেড রেগুলেটর অংশে গিয়ে জল চুক্তির বিভিন্ন দিক নিরীক্ষণ করেন। উপস্থিত ছিলেন ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর জি দেশপাণ্ডে।
ফরাক্কা ব্যারাজের স্লুইস গেট, লকগেট এবং ব্যারাজের বিভিন্ন এলাকা যথ ভাবে পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদলটি।
পর্যবেক্ষণের ফাঁকে ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “প্রতি বছর এই সময় দুই দেশের প্রতিনিধিরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে জল বণ্টন চুক্তির বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক পর্যবেক্ষণ করে থাকি। এ বছরও একই ভাবে দু'দেশের তরফে বৈঠক শুরু হল।”
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করছেন জয়েন্ট রিভার কমিটির সদস্য আবুল হোসেন।ভবিষ্যতে এই জল বণ্টন চুক্তি ফের বাড়ানো হবে কি না, বাড়ানো হলে তার শর্ত কী হবে, তা নির্ধারণে এই পর্যালোচনা রিপোর্ট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy