Advertisement
০৫ মে ২০২৪

উধাও বেশ কয়েকটি মেশিন

কিন্তু সেগুলি কী মেশিন ছিল, যা দ্রুত লুকিয়ে ফেলার প্রয়োজন হল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সেই কারখানা। নিজস্ব চিত্র।

সেই কারখানা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নওদা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:২০
Share: Save:

ছাই উড়ুক নাই বা উড়ুক, ‘রহস্য’ বাড়ছে নওদার কারখানাকে ঘিরে। সম্প্রতি কলকাতা স্টেশন থেকে মাদক-সহ পাঁচ জন চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত এক জনের কাছ থেকে বেলডাঙা স্টেশনের টিকিট পাওয়ায় ঠিকানা মেলে নওদার ‘চিনা-কারখানা’র। এত দিন নওদার লোকজন জানতেন, ওই কারখানায় পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই করা হয়। সেই ছাইয়ের বস্তা বেলডাঙা হয়ে হলদিয়া বন্দর হয়ে জাহাজে পৌঁছে যায় চিনে। কিন্তু ধৃত পাঁচ চিনাকে জেরা করে যা জেনেছেন, তাতে ছাইয়ের আড়ালে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন গোয়েন্দা কর্তারা। গত মঙ্গলবার সিআইডি-র বিশেষ একটি দল ধৃত পাঁচ চিনা নাগরিককে নিয়ে কলকাতা থেকে সড়ক পথে সরাসরি নওদার মধুপুরের কারখানায় পৌঁছন। কারখানার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁরা তাজ্জব বনে যান। সিআইডি কর্তারা কারখানা থেকে বেশ কিছু মেশিন ও নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসেন। কিন্তু গোয়েন্দারা সেখানে আসার আগেই সোমবার দুপুরে তিনটি যন্ত্রচালিত ভ্যান (লছিমন) বোঝাই করে বেশ কিছু মেশিন মধুপুরের কারখানা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

কিন্তু সেগুলি কী মেশিন ছিল, যা দ্রুত লুকিয়ে ফেলার প্রয়োজন হল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মধুপুরের বাসিন্দা যন্ত্রচালিত ভ্যানের এক চালক জাবেকুল শেখ জানান, চিনা কারখানার এক মালিক মধুপুরের ওই কারখানা থেকে বেশ কিছু জিনিস ভাকুড়ি মোড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। মধুপুর থেকে ভাকুড়ি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য তাঁদের তিন জন চালককে পাঁচ হাজার টাকাও দেন। জাবেকুল বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ছিলেন হাজিকুল ও নওশাদ শেখ। ছোট-বড় বেশ কিছু মেশিন লছিমনে চাপিয়ে ভাকুড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাই। সেখান থেকে একটি ছোট লরিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা নেই।

বিষয়টি জানার পরেই গোয়েন্দা কর্তারা ‘বেঁটে-ফর্সা’ অবাঙালি এক জনের খোঁজ করছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানার সঙ্গে শুরু থেকেই জড়িত এমন কয়েক জনের খোঁজ চলছে। তাঁদের তিন জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দিল্লিতেও তাঁদের একটি অফিস রয়েছে। বহরমপুরের কাদাইয়ে একটি আবাসনে তাঁরা অফিস খুলে বসেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েও তাঁরা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু চিনা নাগরিকরা ধরা পড়ার পরেই বহরমপুরের ওই অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Beldanga heroin trafficking Illegal Drug trade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE