Advertisement
E-Paper

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল নবদ্বীপ

রবিবার দিনভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হল নবদ্বীপ। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে সকাল থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ছুটির দিনে কালঘাম ছুটে যায় শহরবাসীর। এ দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎবাহী লাইনে কাজের জন্য দফায় দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩১

রবিবার দিনভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হল নবদ্বীপ। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে সকাল থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ছুটির দিনে কালঘাম ছুটে যায় শহরবাসীর। এ দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎবাহী লাইনে কাজের জন্য দফায় দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছিল। বিকেল ৫টার একটু আগে গোটা শহরের বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারে ডুবে যায় হাসপাতাল থেকে খেয়াঘাট, দোকান বাজার থেকে মঠমন্দির। বিপাকে পড়েন পর্যটকেরা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় মধ্যরাতের পর।

কিছুদিন ধরে নবদ্বীপ শহরের ওভারহেড বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে মাটির তলা দিয়ে করার কাজ চলছে। এ জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে নিয়মিত কাজ করছে বিদ্যুৎ দপ্তর। মাইকে ঘোষণা করে শহরবাসীকে তা জানানোও হয়েছে। রবিবারও সকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে রুটিন কাজ চলছিল। বিকেলের পরে বিদ্যুৎ আসে। পরে আবার বিপর্যয়। নবদ্বীপ সাব-ষ্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্রী কুমার জানান, ভাতজাংলা সাব স্টেশনে বিপর্যয় ঘটে। ফলে এই অবস্থা। কিন্তু এত সময় কেন লাগল বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে? উত্তরে দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ৩৫ কিলোমিটার লাইনের বেশির ভাগটাই খোলা মাঠের উপর দিয়ে এসেছে। ফলে গোলমাল খুঁজে বার করতেই রাত সাড়ে ১১টা বেজে যায়।

এ দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দিশেহারা হয়ে পরে নবদ্বীপ। নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিকেল ৪.৫৫ থেকে রাত ১.৫০ মিনিট পর্যন্ত জেনারেটর চালিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। ওয়ার্ডের আলো এবং ফ্যানের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়। চরম সমস্যায় পড়েন শহরের হাজার হাজার গৃহস্থ। মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়ির আঁধার দূর করতে হয়। দ্রুত বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে দোকানপাট। বিপদে পরে মঠমন্দিরগুলি। মন্দিরগুলিতে মোমবাতির আলোয় আরতি এবং ভোগের ব্যবস্থা করা হয়।

অন্ধকারে চাকদহ। সারারাত বিদ্যুৎ বিহিন হয়ে রইল চাকদহ থানার শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটা অংশ। বৃহস্পতিবার সারারাত প্রচন্ড গরমে কাটাতে হাঁসফাঁস করে কাটাতে হয়েছে বাসিন্দাদের। শুক্রবার দুপুর পার হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের দেখা মেলেনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ দফতরের কোন উদ্যোগ নেই। জানানো সত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মদনপুর বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক বলেন,“আরও কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হওয়ায় সেখানে কাজ শুরু করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই ঠিক করে দেওয়া হবে।”

বিদ্যুৎ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ হটাৎ চাকদহ ব্লকের শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার একটি অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিষয়টি বিদ্যুৎ দফতরকে জানানো হয়। ঘণ্টা খানেক পরে তারা আসে। বাজারের কাছে ট্রান্সেফর্মারটি পরীক্ষা করে বলেন সেটি বিকল হয়ে গিয়েছে। শনিবার ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়।

Nabadwip electric outage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy