গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সঙ্কট কাটাতে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করল এনটিপিসি। বসল ৩টি বার্জ। শুরু হল নোংরা জলকে শোধন করে তা পুনর্ব্যবহারের প্রক্রিয়া।
গঙ্গায় জল সঙ্কটের কারণে গত বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে তিন বার বন্ধ করে দিতে হয় এনটিপিসির ফরাক্কার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউনিটই।
খরা মরসুমে বাংলাদেশকে চুক্তি মতো ১০ দিনের ব্যবধানে বাড়তি জল দিতে হয় ফরাক্কার গঙ্গা থেকে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি না হলে জলের সেই ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় না। গত বছরেও এই কারণেই ফরাক্কায় জল সঙ্কট চরমে ওঠে। ২১০০ মেগাওয়াটের ফরাক্কার ৬টি ইউনিট চালাতে নিজেদের ইনটেক ক্যানালে একটানা ৩০০০ কিউসেক জল প্রয়োজন।
এই জল পেতে গেলে ফিডার ক্যানালে অন্ততঃ ২০ মিটার গভীর জলস্তর থাকা দরকার। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানাল দিয়ে অন্ততঃ ৩০ হাজার কিউসেক জল প্রবাহ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। কারণ ফিডার ক্যানালের গঙ্গার জলের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেই জল কমতে শুরু করেছে গঙ্গায়। গত বছর হঠাৎ করে জল সঙ্কট হওয়ায় তা সামাল দেওয়া যায়নি। এ বারে তাই ফিডার ক্যানালে একাধিক বার্জ লাগিয়ে পাম্প মেসিন বসানো হয়েছে। তা দিয়ে ফিডার ক্যানাল থেকে বাড়তি জল তোলা হচ্ছে ইনটেক ক্যানালে।
এছাড়াও নোংরা হয়ে যে জল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যায় তা বেরোবার পথ এ বারে আটকে দিয়ে শোধন করে সেই জলকেই ফের এনটিপিসির ইনটেক ক্যানালে নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে।
শৈবালবাবু বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ৬টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে সংস্কারের জন্য। বাকি ৫টিতে ১৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকলেও বৃহস্পতিবারে মাত্র ১৩৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। এ বারে যে ভাবে বাড়তি জল আনার ব্যবস্থা হয়েছে তাতে জল সঙ্কটের প্রভাব সে ভাবে পড়বে না ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy