দেশ জুড়ে শ্রমিক ও কৃষক ধর্মঘটের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। এই বন্ধ সফল করতে যেমন কোথাও ধর্মঘট সমর্থকদের বল প্রয়োগ করতে দেখা যায় নি। তেমনই অতীতের মত এদিন ধর্মঘট অসফল করতে রাস্তায় দেখা যায়নি শাসকদলকেও। কান্দি থেকে ফারাক্কা, বহরমপুর থেকে ডোমকল ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ ছিল। ছোটখাটো দোকান কিছু খোলা থাকলেও বড় দোকান বন্ধ ছিল সর্বত্র। রাস্তায় সরকারি বাসের উপস্থিতি থাকলেও বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। তবে একাধিক জায়গায় টোটোর দাপট দেখা গিয়েছে।
স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল করলেও ভিড় ছিল না যাত্রিবাহী ট্রেনে। জেলায় সরকারি দফতর খোলা থাকলেও সেখানে হাজিরাও কম ছিল। বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনেও ছবিটা একরকম থাকলেও অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর বলেন, “সমস্ত সরকারি দফতরে স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।” তবে সাধারণ মানুষজন মোটামুটি ঘরবন্দিই ছিলেন ধর্মঘটের দিন।
বৃহস্পতিবার কান্দি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বাম ও কংগ্রেস যৌথ ভাবে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়, বড়ঞা ব্লকের আন্দি ও ডাকবাংলো মোড়ে, ভরতপুর, সালার ও খড়গ্রাম মোড়ে বন্ধের সমর্থনে একাধিক মিছিল করে। সকালের দিকে আনাজ বাজারসহ গ্রামীণ হাট আংশিক খোলা থাকলেও পরে সবই বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় একাধিক সরকারি বাস দেখা গেলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে বেসরকারি বাস রাস্তায় দেখা যায়নি। এদিন সকালে হরিহরপাড়া বাজারের বেশ কিছু দোকান, আনাজ, মাছ বাজার ছিল খোলা। হরিহরপাড়া নওদার সমস্ত অফিসেই কর্মী আধিকারিকদের উপস্থিতি ভাল ছিল। তবে সাধারণ মানুষের হাজিরা কম ছিল। নওদায় সমস্ত দোকানপাট ছিল বন্ধ। সকাল থেকেই দফায় দফার মিছিল, পথ অবরোধ করে কংগ্রেস, সিপিএম সহ অন্য বন্ধ সমর্থকেরা। দু-এক জায়গায় সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা বিফলে যায় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। বন্ধের দিন বেলডাঙা বড়ুয়া, পাঁচরাহা, ছাপাখানা, মারুই বাজার কোথাও খোলা কোথাও বন্ধ ছিল। বেশির ভাগ দোকান ছিল বন্ধ। রাস্তায় মানুষ কম ছিল। জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে বেসরকারি বাস ও ট্রেকার চোখে পড়েনি। জাতীয় সড়কে সরকারি বাসও তেমন নজরে আসেনি।