চিকিৎসকের অপেক্ষায়। পুরন্দরপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
• গ্রামে বিদ্যুৎ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎবিভ্রাটে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা লাটে ওঠার জোগাড়। পঞ্চায়েত থেকে কী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
কফুরা বিবি, পার্বতীপুর
এলাকার বাসিন্দারা এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের এ নিয়ে অনেকবার বলেছি। বিডিওকেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি। আমি ফের বিদ্যুৎ দফতরকে জানাব।
• পাকা নিকাশি নালা গড়তে পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু এখন তা মাঝপথে থমকে গিয়েছে। নিকাশিনালা কী হবে না?
সহরব শেখ, পিরতলা
নিকাশিনালা পাকা করতে পঞ্চায়েত প্রস্তুত। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তা শেষ করা যাচ্ছে না। কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় তার জন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে জানিয়েছি।
• পুরন্দরপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেও যেন নেই। পরিষেবা বিন্দুমাত্র মেলে না। অধিকাংশ দিনই চিকিৎসক না। ফেল সামান্য রোগব্যাধিতে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ছুটতে হয়। এমনকী দশ শয্যা চালু হওয়ার কথা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি। কিন্তু কোনও কিছুই তো হতে দেখছি না।
জাহিদুল ইসলাম, পুরন্দরপুর
পুরন্দরপুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা যে ভেঙে পড়েছে সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আমি বহুবার স্বাস্থ্য কর্তাদের চিঠি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছি। মহকুমাশাসক, বিডিও, এলাকার বিধায়ককেও একই দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। চিকিৎসকের অভাবে এমন অবস্থা বলে জানা গিয়েছে। আমি ফের স্বাস্থ্য কর্তাদের সমস্যার কথা জানাব।
• পুরন্দরপুরের বহু রাস্তাঘাট সংস্কার হলেও কানাময়ূরাক্ষীর ওপারে লক্ষ্মীনারায়ণপুরের রাস্তার হাল সেই তিমিরে। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার হয়নি। রাস্তার পাশে থাকা পুকুরগুলিতে রাস্তা ভেঙে ভেঙে পড়ছে। রাস্তা কী সংস্কার আদৌ হবে?
মজিবর রহমান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর
রাস্তার অবস্থা যে এত খারাপ জানতাম না। তা হলে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই রাস্তার সংস্কার করা যেত। তবে রাস্তাগুলি ঢালাই করার চেষ্টা চলছে।
• এলাকার মানুষ বাজারহাট করতে পুরন্দরপুর মোড়ে হাজির হন। রাত পর্যন্ত গমগম করে বাজার। কিন্তু ওই কোনও পথবাতি না থাকায় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের অসুবিধে পড়তে হয়। রাত ৮টা বাজলে মোড় থেকে অন্ধকারে পথে বাড়ি ফেরার সময় গা ছমছম করে।
আলেপ শেখ, পুরন্দরপুর মোড়
পথবাতি দেওয়ার বিষয়ে পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়নি এমন নয়। পথবাতির গুরুত্ব ভেবেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের নিয়মের জটিলতায় সেই কাজ হয়নি। সৌরআলো বসিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।
• গ্রামের রাস্তা এমনিতেই সরু। তার উপরে কিছু ব্যবসায়ী রাস্তা জুড়ে ইট, বালি, পাথর রেখেছেন। এতে যাতায়াতে যেমন অসুবিধে হচ্ছে তেমনই দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
রাস্তার উপর ডাঁই করা ইট, বালি। —নিজস্ব চিত্র
খোদাবক্স, পার্বতীপুর
এলাকার অধিকাংশ রাস্তাগুলি পূর্ত দফতরের। তাই ইচ্ছা থাকলেও কিছু করা যায় না। পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি জানাব। প্রয়োজনে ব্লক প্রশাসনের কর্তাকেও জানানো হবে।
• কৃষিপ্রধান এলাকা পুরন্দরপুর। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে মাটির উর্বরতা ক্ষমতা হারিয়েছে। খরচ করে চাষ করার পরেও ফলন হচ্ছে না। জীবানুর আক্রমণ হচ্ছে। সরকারি কোনও সহযোগিতা মিলবে কী?
আসারুল শেখ, দক্ষিণ লক্ষ্মীনারায়ণপুর
খেতের কাজে সহযোগিতার জন্য সব সময় তৎপর পঞ্চায়েত। কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি কর্মশালা করে এলাকার জমিগুলির মাটি পরীক্ষা করে ওই মাটিতে কী ধরনের পরিচর্যা করতে হবে সেই পরামর্শ যাতে কৃষি আধিকারিকদের কাছ থেকে এলাকার চাষিরা পান, তার জন্য কৃষি আধিকারিকদের জানাব।
• পার্বতীপুর, তিলিপাড়া, বুন্দাই-সহ অধিকাংশ গ্রামেই পানীয় জলের অভাব। এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে পাম্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের দাবি দীর্ঘ দিনের। ওই বিষয়ে পঞ্চায়েত কী কোনও উদ্যোগ নিয়েছে?
সানোয়ার শেখ, পুরন্দরপুর
পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাতশো নলকূপ আছে। তার মধ্যে প্রায় তিনশো নলকূপ বিকল খবর পেয়েছি। প্রতিমাসে প্রায় ৩০টি বিকল নলকূপ মেরামতি হয়। তারপরেও জলের সমস্যা আছে জেনে খারাপ লাগছে। তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে পানীয় জল যাতে সরবরাহ হয় তার জন্য আমি জেলা পরিষদ, জেলাশাসক ও বিধায়ককে জানাব।
• পুরন্দরপুর মোড়ে বাস স্টপেজ না থাকায় সরকারি বাস দাঁড়ায় না। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পঞ্চায়েত কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
পলাশ সাহা, পুরন্দরপুর
জেলাশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্ত সরকারি বাসগুলি পুরন্দরপুরে দাঁড়াবে।
• আধার কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দাদের নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। পঞ্চায়েতে একটি অফিস খুলে ওই কার্ড তৈরি করতে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছে। প্রত্যেক সংসদ এলাকায় গিয়ে আধার কার্ড তৈরি করলে বাসিন্দারাও উপকৃত হন। পঞ্চায়েত কী ভাবছে?
ছোটন শর্মা, পুরন্দরপুর
আমি মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবেই প্রথমেই পঞ্চায়েতের পরিবর্তে প্রত্যেক সংসদে গিয়ে আধার কার্ড করার প্রস্তাব বিডিওকে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিডিও সেই প্রস্তাব না মেনে পঞ্চায়েতে একটি করে অফিস খুলে ওই কার্ড বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। আমি ফের বিডিওকে বিষয়টি জানাব।
• ছোটদের রেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতর তেমন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। অথচ অনেক পরিবারের ছোটদের এখনও রেশন কার্ড হয়নি। পঞ্চায়েত থেকে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
সেন্টু শেখ, বুন্দাই
রেশন কার্ডের সমস্যা সর্বত্রই একই। আমরা বহু বার বিডিও ও জেলাশাসকের সাথে বৈঠক করার সময় ওই দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy