Advertisement
E-Paper

ভারী বৃষ্টিতে ভয় ভাঙনেই

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ০.৭২  মিলিমিটার এবং রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮.০১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নদিয়া জেলায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৬
অল্প বৃষ্টিতেই জমেছে জল। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে। নিজস্ব চিত্র

অল্প বৃষ্টিতেই জমেছে জল। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে। নিজস্ব চিত্র

আবহাওয়া দফতরের তরফে গোটা রাজ্য-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জেলায়। রবিবার ইতস্তত বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে জেলার কোনও কোনও জায়গায়। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনটাই দাবি।

আশ্বিন মাসের নীল আকাশের গত দু’দিন ধরেই মুখভার। যা দুর্গা প্রতিমায় মাটি-রং লেপার কাজে চিন্তা বাড়িয়েছে মৃৎশিল্পীদের। পুজোর আগে-আগে ভারী বৃষ্টির আগাম পূর্বাভাস ঘোষণা হয়েছে জেলায়। ভাগীরথী, চূর্ণীর মতো নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার অনেকটাই নীচে। তবুও পরিস্থিতির উপরে সতর্ক নজর রাখছে প্রশাসন। শনিবার এবং রবিবার জেলার কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এখনও জেলায় সে ভাবে ভারী বৃষ্টির কোনও খবর নেই।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ০.৭২ মিলিমিটার এবং রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮.০১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নদিয়া জেলায়।

দিন কয়েক আগেই জেলায় ঘুরে গিয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। শান্তিপুর, চাকদহের মতো এলাকায় ভাগীরথীর ভাঙন এক বড় সমস্যা। জেলার কয়েক জায়গায় ঘুরে দেখে যান মন্ত্রী। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও মিলেছে। এবারের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যে জেলার ভাঙন এবং বন্যাপ্রবণ এলাকা নিয়ে আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। জেলার নদীবাঁধগুলি এখনও ঠিক রয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

জেলা পরিষদের সেচ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তারান্নুম সুলতানা মির বলেন, “এখনও পর্যন্ত সমস্যা কিছু নেই। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। আমাদের কর্মীরাও সতর্ক রয়েছেন।”

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথায় রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে বা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলার পাশাপাশি মহকুমা এবং প্রতিটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। জেলায় তৈরি থাকছে ‘কুইক রেসপন্স টিম’।

এর পাশাপাশি, ঝড়-বৃষ্টিতে গাছের ডাল পড়ে বা ধ্বংসস্তূপ তৈরির মতো পরিস্থিতি ঘটলে তা সরানোর জন্যও যন্ত্রপাতি তৈরি থাকছে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন শহরে যেখানে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ার প্রবণতা রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং নজরদারি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও পুরোদস্তুর তৈরি থাকছে প্রশাসন।

River Erosion Krishnanagar Heavy Rainfall
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy