উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও টাকা।—নিজস্ব চিত্র
মাত্র দু’দিনের ব্যবধান। মুর্শিদাবাদ লাগোয়া মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় ফের বিএসএফ পাকড়াও করল আরও এক অস্ত্র কারবারিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার এক সাকরেদকেও।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০টি দেশি পিস্তল। দিন দুয়েক আগে মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর কার্তুজ-সহ একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দুই অস্ত্র কারবারির মধ্যে যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রবিবার মালদহের ইংলিশ বাজারে এক অস্ত্র কারবারিকে ধরে পুলিশ। আনারুল হক নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি ধুলিয়ানের গ্রামে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০টি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন ও ৫০ রাউন্ড কার্তুজ। সে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে গিয়েছিল মালদহে।
বিএসএফ জানিয়েছে, আপাতত সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোবাইল সহ ধৃত দুজনকেই তুলে দেওয়া হয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের হাতে। তারাই সমস্ত বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখছে। খতিয়ে দেখছে মোবাইলের কল লিস্টও।
পুলিশ জানিয়েছে, বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা মঙ্গলবার রাত্রি দেড়টা নাগাদ শবদলপুরের মইদুল সেখ নামে এক যুবকের বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের মধ্যে একটি পুঁটলিতে রাখা ছিল ১০টি দেশি পিস্তল। মইদুলের বাড়ি থেকেই আটক করা হয়েছে রব্বুল সেখ নামে এক কিশোরকেও। সে ওই বাড়িতেই মইদুলের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করত।
বিএসএফের দাবি, এলাকায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মইদুলের। মইদুলের ঘন ঘন ভাগলপুরেও যাতায়াত ছিল । সেখান থেকেই যন্ত্রাংশ কিনে এনে নিজের বাড়িতেই দেশি পিস্তল তৈরি করত সে। বাড়ি থেকে তার যাতায়াতের প্রধান রাস্তাই ছিল ধুলিয়ান ফেরিঘাট। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া দুটি মোবাইলে বাংলাদেশের প্রচুর নম্বর রয়েছে। বিএসএফ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাদের ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy