Advertisement
০৩ মে ২০২৪

রুকবানুরের নামে দলের পোস্টার

অদূরে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নদিয়ার চাপড়ায় প্রকট হল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে যাতে ফের ওই কেন্দ্রে প্রার্থী না করে দল, সেই দাবিতে ব্লক তৃণমূল ও ব্লক যুব তৃণমূলের তরফে বুধবার পোস্টার পড়ল এলাকায়। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক পরিমল বিশ্বাস ও চাপড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হরিদাস প্রামাণিক স্পষ্টই বলেন, ‘‘স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আর রুকবানুরকে চাইছেন না।’’

চাপড়ায় এই পোস্টার পড়েছে। — নিজস্ব চিত্র।

চাপড়ায় এই পোস্টার পড়েছে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৫ ০২:১৬
Share: Save:

অদূরে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নদিয়ার চাপড়ায় প্রকট হল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে যাতে ফের ওই কেন্দ্রে প্রার্থী না করে দল, সেই দাবিতে ব্লক তৃণমূল ও ব্লক যুব তৃণমূলের তরফে বুধবার পোস্টার পড়ল এলাকায়।
তৃণমূলের জেলা সম্পাদক পরিমল বিশ্বাস ও চাপড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হরিদাস প্রামাণিক স্পষ্টই বলেন, ‘‘স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আর রুকবানুরকে চাইছেন না।’’ তাঁদের যুক্তি, গত বারও রুকবানুরকে দলের কর্মীরা চাননি। বহু কষ্টে তাঁদের রাজি করিয়ে, সামান্য ভোটে রুকবানুরকে জেতানো গিয়েছিল। ‘‘কিন্তু বিধায়ক হয়ে রুকবানুর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, তাতে ওঁর এ বার জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই,’’ বলেন হরিদাসবাবু। এর আগে রুকবানুরের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিফলেট ছড়িয়েছিল তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী।
রুকবানুরকে বাদ দেওযার দাবি তুলে ইতিমধ্যে চাপড়া বিধানসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন ব্লক নেতাদের একাংশ। গত রবিবার চাপড়ার একটা লজে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই এ বিষয়ে জনমত তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো বুধবার চাপড়া বাজার ও হাটরা এলাকায় পোস্টার পড়ে। এরপর গোটা চাপড়া বিধানসভা এলাকা জুড়েই এমন পোস্টার সাঁটা হবে, জানান এই নেতারা। ওই দাবি নিয়ে এলাকার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অন্তত ১০০টি করে পোস্টকার্ড দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

কী বলছেন রুকবানুর? তিনি দলের একাংশের বিরোধিতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিরোধীদের সঙ্গে চক্রান্ত করে ওঁরা এ সব করছেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত রুকবানুরের পাশেই আছেন। বলছেন, ‘‘যাঁরা এ সব করছেন তাঁদেরকে পাশের বাড়ির লোকও তৃণমূলের কর্মী বলে চেনেন না। তাই গুরুত্ব দিচ্ছি না।’’

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীপদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন তৎকালীন ব্লক সভাপতি হরিদাসবাবুও। কিন্তু সকলকে হতাশ করে মমতা রুকবানুরকে প্রার্থী করে পাঠান। তখন থেকেই দু’পক্ষের বিরোধ শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে চাপড়ায় তৃণমূল খারাপ ফল করলে, তার জন্যও রুকবানুরকে দায়ী করেন এই নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE