Advertisement
Back to
Kunal Ghosh And Adhir Chowdhury

‘দলবিরোধী’ কুণাল খুন হয়ে যেতে পারেন! আশঙ্কা করলেন অধীর, পাল্টা কী বললেন তৃণমূলের ঘোষ

বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীরের দাবি, সত্যি বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়েছেন কুণাল। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জেলে ভরা হতে পারে। খুনও করা হতে পারে তাঁকে।

কুণাল ঘোষ এবং অধীর চৌধুরী।

কুণাল ঘোষ এবং অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ১৯:১৯
Share: Save:

খুন হয়ে যেতে পারেন কুণাল ঘোষ! তৃণমূলের ‘অভ্যন্তরীণ বিবাদ’ নিয়ে বলতে গিয়ে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীরের দাবি, সত্যি বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়েছেন কুণাল। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জেলে ভরা হতে পারে। খুনও করা হতে পারে তাঁকে।

এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘এ সব নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তৃণমূলের কর্মী এব‌ং সমর্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকল্প সারা রাজ্যে প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে দল যে ভাবে প্রচার চালাচ্ছে, তাতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয় হবে। দল ৩০-৩৫টি আসন পাবে এ বার।’’

দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে কুণালকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের ‘শাস্তি’ ঘোষণার পরেও থামেননি কুণাল। লাগাতার দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগা জারি রেখেছেন তিনি। নাম না করে প্রকাশ্যে দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিঁধেছেন। তাতে লোকসভা ভোটের আবহে অস্বস্তিতে পড়ার কথা শাসক তৃণমূলের। এ সব নিয়ে জল্পনার মধ্যে কুণালকে পঞ্চম দফার ভোটের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও সরিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের সঙ্গে কুণালের দ্বন্দ্বের এই বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার নিজের মত দেন অধীর।

বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীরে বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষ এখন সোজা কথা বলতে শুরু করেছে। দিদির গায়ে ঝাল লাগছে। ভাল লাগছে না। কুণাল ঘোষকে ক’দিন পর জেলে ভরে দেবে। খুনও করে দিতে পারে। মিথ্যা কেসে জেলও হতে পারে।” প্রসঙ্গত, সারদা মামলায় জেলে গিয়েছিলেন কুণাল। রাজ্য পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় কুণাল বার বার দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছে! সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও নিশানা করেছিলেন তিনি।

এ নিয়ে অধীরের মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরী বাংলায় সিপিএম এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসকে বিজেপির পায়ে সমর্পিত করেছেন। বাংলার কংগ্রেসকে শূন্য থেকে উনি মহাশূন্যে এগিয়ে নিয়ে যান। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ওঁর নাক না গলালেও চলবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kunal Ghosh adhir chowdhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE