পুজোর পরেও থেকে গিয়েছে বিজ্ঞাপনের গেট। জঙ্গিপুরের রাস্তায়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
দুর্গাপুজো পার। পার লক্ষ্মীপুজোও। তবু আড়াই কিলোমিটার প্রধান সড়ক পথে ৫২টি তোরণ। উমরপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ। আড়াই কিলোমিটার পথে হাতে গোনা হিসেব এটি। এই সব তোরণের জন্য কোনও অনুমতি নেই কারও। পুজো মেটার পরে মাত্র ২০টি তোরণ খুলেছে কয়েকটি পুজো কমিটি। সড়কের মালিক পূর্ত দফতর। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, কেউ অনুমতি চায়ওনি, তারা অনুমতি দেয়ওনি। জঙ্গিপুর পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, শহরের মধ্যেকার সমস্ত তোরণ পুজো কমিটিগুলিকে খুলে নিতে হবে দু’দিনের মধ্যে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবে তারা।
শুধু কি রঘুনাথগঞ্জের এই অবস্থা? জঙ্গিপুর শহর থেকে লালগোলা, শমসেরগঞ্জ, সুতি, সাগরদিঘি, ফরাক্কা, ধুলিয়ান কমবেশি সর্বত্রই এখনও প্রায় শতাধিক তোরণ রাস্তা ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ভাবে।
প্রতিবারই পুজোর সময় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার জন্য এমন তোরণের ব্যবহার করে পুজো কমিটিগুলি। প্রতিবারই এই ভাবে সড়কের দু’পাশে প্রায় ৬ ফুট রাস্তা বন্ধ করে তোরণ তৈরি হয়েই থাকে। পুলিশ দেখেও দেখে না পুজো কমিটিগুলির মুখের দিকে চেয়ে। এই সব তোরণের মধ্যে কতগুলি আবার শাসক দলের স্থায়ী তোরণ, যাতে নেতা-মন্ত্রীদের ছবি থাকে। কিন্তু রাস্তা সঙ্কুচিত হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে পদে পদে।
তবে মন্দের ভাল, বুধবারই জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের মফিজুল ইসলাম ঘোষণা করেছেন, শহরের সমস্ত তোরণ দু’দিনের মধ্যে খুলে নিতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। সাংসদ খলিলুর রহমান বলছেন, “যানজট কাটাতে উচিত কাজ শেষ হতেই তোরণ খুলে নেওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy