তৃপ্তেশ বিশ্বাস
এই সে দিন পর্যন্তও ফেসবুকে কোনও অ্যাকাউন্ট ছিল না তার। স্মার্টফোন হাতে এসেছে মাস দুয়েক আগে। ফেসবুকেও তার পরেই। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নাম নেই। মাধ্যমিকেও তেমনটাই ছিল। কিন্তু গণিতের পোঁকা ছাত্রটির পরিকল্পনা ছিল অন্য রকম। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল বেরোতে দেখা গেল অষ্টম স্থানে হয়েছে কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল স্কুলের তৃপ্তেশ বিশ্বাস।
অষ্টম হলেই বা কী, কাউন্সেলিংয়ে বসতে চায় না কল্যাণী বি ব্লকের তৃপ্তেশ। বাড়িতে জানিয়েও দিয়েছে সে কথা। কিন্তু কেন? তৃপ্তেশের জবাব, ‘’ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই ঠিকই। আইআইটি-তে সুযোগ পেলে তবেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ব।’’ আইআইটি-তে সুযোগ মিললে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। কিন্তু, তা না হলে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছে তৃপ্তেশ। চেন্নাইয়ে ম্যাথামেটিক্যাল ইনস্টিটিউটে অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় সে।
আরও পড়ুন: ‘খোলসা করে বলি, আমি মনের মানুষ পেয়ে গিয়েছি’
তা হলে ইঞ্জিনিয়রিংয়ের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিল কেন সে? তৃপ্তেশের সরল জবাব, ‘‘সহপাঠিরা সবাই বসছে দেখে বসেছিলাম।’’ এই কৃতিত্বের বড় ভাগীদার বাবা-মা, জানাচ্ছে তৃপ্তেশ। কী বলছেন তাঁরা? তৃপ্তেশের বাবা বিপ্লব বিশ্বাস হুগলির গুরাপের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। বিপ্লববাবু জানান, ছেলে বরাবরই পড়াশোনায় মনোযোগী। গত দু’বছর ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ভাল ফল করেছে। জয়েন্টে ভাল ফল অপ্রত্যাশিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy