ফের ধর্ষণের অভিযোগ। ফের ‘পুলিশি ঝামেলায়’ না গিয়ে সালিশিতে মিটমাটের চেষ্টা। এ বার মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ডিহিগ্রামে।
সম্প্রতি রাজ্যের বেশ ক’টি ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে থানা-পুলিশ না করে সালিশি সভাতেই মিটমাট করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সেই সব সভায় উপস্থিত থেকেছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাও। যদিও এই ধরনের সালিশি সভার আইনি বৈধতা নেই। কিছু দিন আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে এমনই এক সালিশি সভা ঘিরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।
ওই সালিশি সভায় বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করেছিল মেয়ে। তার পরেই সেই সভা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। পর দিন তার দেহ উদ্ধার হয়। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ির সালিশি সভায় সক্রিয় হয়েছিলেন দলের কাউন্সিলরের স্বামী-সহ স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা। সুতি থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে ডিহিগ্রামে সেই একই ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল সিপিএমের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে। সেখানে মাত্র ১০ বার কান ধরে ওঠবোস এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার নিদান দিয়েই অভিযুক্তকে ‘খালাস’ দেন মাতব্বরেরা। অভিযুক্তর তরফে দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এবং তা রয়েছে সংশ্লিষ্ট জগতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই সিপিএম সদস্যের জিম্মায়।