দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। —নিজস্ব চিত্র।
ছুটিতে বাড়ি এসে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সেনাকর্মীর। বৃহস্পতিবার সকালে বড়ঞার বাবলাতলার কাছে ডাম্পারের ধাক্কায় মিন্টু বিশ্বাস (৩৮) নামে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়। তিনি সপরিবারে তারাপীঠ থেকে পুজো দিয়ে নবদ্বীপের বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জখমদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃতের শ্যালিকা তাপসী সাও ও গাড়ির চালক বলরাম দেবনাথকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের শেষে ওই জওয়ানের দেহ তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
নবদ্বীপের বাঁশবাগান তুড়োপাড়া লেনের বাসিন্দা মিন্টু বিশ্বাস বুধবার দুপুরে সপরিবারে তারাপীঠ গিয়েছিলেন। তিনি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের রাঙাপাহাড় সেনা ছাউনিতে কর্তব্যরত ছিলেন। আদতে গঙ্গার পূর্বপাড়ে সুবর্ণবিহার গ্রামের বাসিন্দা মিন্টুবাবু বছর দুয়েক আগে নবদ্বীপে বাড়ি কিনেছিলেন। বছরে একবার ছুটিতে নবদ্বীপে আসতেন। ৫ জানুয়ারি নাগাল্যান্ড থেকে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে একটি একটি গাড়ি ভাড়া করে স্ত্রী পিয়া বিশ্বাস, মেয়ে ঈশিকা বিশ্বাস, পিয়াদেবীর দিদি তাপসী সাউ ও তার মেয়ে রিয়া সাউকে নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান।
এ দিন ফেরার পথে বড়ঞার কুলি মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চা খেয়ে ফের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু মাত্র দু’কিলোমিটার যাওয়ার পরে বাবলাতলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাম্পারটি রাস্তা থেকে দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল। ছোট গাড়িটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটিকে ধাক্কা মারে। ওই জওয়ানের স্ত্রী পিয়াদেবী বলেন, “গাড়ির চালক রাতে মদ খেয়েছিল বলে আমরা রাতে ফিরিনি। ঠিক হয় সকালে ফিরব। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। চালকের দোষেই এটা ঘটল।” দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন পিয়াদেবী। ফলে কী ভাবে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা নিয়ে মনে করতে পারছেন না। তিনি বলেন, “আমি ঘুমোছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরল তখন হাসপাতালে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy