দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় কার্যালয় দখল করতে চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক যুব নেতার বিরুদ্ধে। শান্তিপুরের ফুলিয়াতে রেল লাইনের ধারে টিএমসিপির একটি দলীয় কার্যালয় আছে। পাশেই রয়েছে একটি সেলুন।
অভিযোগ, শান্তিপুরের বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূলের জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় ওরফে পিটার ২২ মে রাতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে খোকন শীলের ওই সেলুনে চড়াও হয়। খোকনের অভিযোগ, ‘‘পিটার এসে আমাকে বলে পরেশের লোকজন যেন কার্যালয়টি ভেঙে দেয়। প্রয়োজনে আমাকেও কিছুটা জমি পাইয়ে দেওয়া হবে।’’
খোকনবাবুর দাবি, সেই মতো তিনি বিষয়টি টিএমসিপি-র শান্তিপুর ব্লক সভাপতি পরেশ বিশ্বাসকে জানান। রবিরার দুপুরে খোকনবাবু বিষয়টি শন্তিপুর থানায় লিখিত ভাবে জানান। খোকনবাবুর কথায়, ‘‘আমি কোনও কিছুর মধ্যে থাকি না। তাই ভয় পেয়েই পুলিশকে জানিয়ে রাখলাম।’’
কিন্তু কেন হঠাৎ করে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা স্তরের নেতা তাঁরই দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় কার্যালয় ভেঙে দিতে বলবেন? শাসক দলের কর্মীদেরই একাংশের দাবি, এই কার্যালয়টি আসলে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি পরেশ বিশ্বাসের নিয়ন্ত্রণে। আবার পরেশ বিশ্বাস পিটারের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। সেই কারণেই কার্যালয় নিয়ে এই চাপানউতোর। পরেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পিটার আসলে আমাদের কার্যালয়টাকে তুলে দিয়ে জায়গাটা মোটা টাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। আর আমরা সেটা কিছুতেই হতে দেব না।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাস্যকর অভিযোগ। আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে। ওই দিন আমি ফুলিয়াতেই ছিলাম না। তাহলে কী করে আমি খোকনের সেলুনে গেলাম।’’ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy