সেতু-বোঝাই: বহরমপুরে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সেতুতে নিত্যকার যন্ত্রণা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
আকাশে রোদ্দুর, আর, জমি হারিয়েছে জলের তলায়।
ময়ূরাক্ষীর পাড় ভাঙায় বানভাসি জলে কান্দির বড়ঞা এলাকার বেশ কিছু গ্রাম আর লাগোয়া ধানি জমি এখন প্রশস্থ বিলের চেহারা নিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিম্নচাপ সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে, কিন্তু পড়শি রাজ্য়ে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়ায় মশানজোর ও তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়তে শুরু করায় চাপ বেড়েছে ময়ূরাক্ষীর। জলচ্ছ্বাসে ভেসেছে বড়ঞার পাঁচথুপি, ভরতপুর ১ নম্বর ব্লক আর তার সঙ্গেই কয়েক হাজার বিঘার আমন ধান নষ্ট হতে বসেছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি অঞ্চলের গোদাপাড়া এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ ভেঙে ওই গ্রামের প্রায় ৩০ হেক্টর আমন ধানের খেত জলে ডুবে রয়েছে।
ক্ষতির পরিমান ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকেরও কম নয়। সেখানকার গুন্দিরিয়া, গড্ডা অঞ্চলের ক্ষতির পরিমান সব থেকে বেশি। প্রায় ৩৮০০ হেক্টর আমন ধান হারিয়ে যেতে বসেছে সেখানে। গুন্দিয়িরা পঞ্চায়েতের ইব্রাহিমপুরের বাসিন্দা আলমগীর শেখ বলেন, “কৃষি দফতরের আধিকারিকরা যতই দাবি করুক বিষেশ ক্ষতি হয়নি, কিন্তু মাঠে ধান নেই। সব জলের তলায়। ধান এখন ফুল আসার পর থোর হয়ে গিয়েছে। সেই সময় ময়ূরাক্ষী নদীর পলি মিশ্রিত জলে ধান আর হবে না।’’ ছত্রপুর ও জাকিনা গ্রামের মানুষজনেরও আক্ষেপ, ‘‘কী করে সারা বছর চলবে ভেবে কুল পাচ্ছি না!’’ বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমাদের ব্লকে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ময়ূরাক্ষী নদীর চাঁদপুর এলাকায় একটি বড় ধরণের ফাটলও দেখা গিয়েছে। ফলে ফের ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ওই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেখানেও।’’
তবে, আশার কথা, তিলপাড়া জলাধার থেকে নতুন করে জল না ছাড়ায় ময়ূরাক্ষীর জল কমছে। তবে, নতুন করে নিম্নচাপ এবং বৃষ্টির ব্রূকুটি থাকায় কপালে ভাঁজ মোছেনি চাষিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy