Advertisement
০৭ মে ২০২৪

কল দিয়ে হলুদ জল, আর্সেনিক নিয়ে আশ্বস্ত করলেন পুরপ্রধান

সম্প্রতি আনন্দবাজারের কয়েকজন পাঠকের মুখোমুখি হন কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীম সাহা। সঞ্চালনা করলেন সুস্মিত হালদার।

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৪ ০১:০৬
Share: Save:

কৃষ্ণনগর পুরসভা দেড়শো বছরের পুরনো। এই পুরসভার সঙ্গে বহু ইতিহাস জড়িয়ে আছে। পুরসভার কাছেই তার বহু নথিপত্র আছে। সেই সব নথিপত্র সংরক্ষণের ব্যাপারে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

স্বদেশ রায়, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: আমরা নথিপত্র সংরক্ষণে উদ্যোগী হচ্ছি। রামগোপাল চেলাঙ্গিয়াদের টাউন হলে জমি আছে। সেই জমিতে আমরা একটা আর্ট গ্যলারি, অডিটোরিয়াম ও একটি মিউজিয়াম তৈরির ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছি। চেলাঙ্গিয়ারা রাজি আছেন। জেলা প্রশাসন রাজি হলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারব।

যানজট আর ভিড় নিয়ে শহরটা যেন তালগোল পাকিয়ে আছে। তেমন ট্রাফিক কন্ট্রোলও নেই। ফুটপাথ দখল হয়ে যাচ্ছে। অনন্ত হরি মিত্র রোড দিয়ে হাঁটা যায় না। কী ভাবছে পুরসভা?

সম্পদ নারায়ণ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: ফুটপাত ও রাস্তায় যাতে কেউ বসতে না পারে সেটা দেখার জন্য ৫০ জনের একটা টিম তৈরি করা হয়েছে। শহরের রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে এ সমস্যা শুধু পুলিশ দিয়ে সমাধান হবে না। মানুষকেও সচেতন হতে হবে।

শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল গাড়ি রাখার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরে গাড়ি রাখতে হয়। এই সমস্যা নিয়ে কী ভাবছে পুরসভা?

ইলা বিশ্বাস, ৫ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: গাড়ি রাখার মতো জমি শহরের ভিতরে নেই। আমরা কোতোয়ালি থানার সামনে ও চাষাপাড়ার বাসস্ট্যান্ডের পাশে গাড়ি রাখার জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।


প্রশ্নোত্তর পর্বের ছবি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য।

অঞ্জনা নদী ভরাট হচ্ছে। শিমুলতলের মাঠের পাশের খালও বুজিয়ে ফেলে বাড়ি হচ্ছে।

খগেন দত্ত, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: জলা জমি ভরাট আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। এই ব্যাপারে এলাকার মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।

আমাদের এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় হলুদ জল পড়ে। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি জল পাই না। আমাদের শহরের জল কি আর্সেনিক মুক্ত?

মিহির দাস, ১২ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: এমন অভিযোগ এই প্রথম শুনলাম। এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে তো জল সরবরাহ হয়। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। নিয়মিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও সল্টলেকের কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে জল পরীক্ষা করানো হয়। তাদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আর্সেনিকের মাত্রা বিপজ্জনক সীমার নীচেই আছে।

শহরের ব্যস্ততম এলাকা চিত্রমন্দির সিনেমা হলের উল্টোদিকে একটি ময়লা ফেলার ভ্যাট আছে। কিন্তু সেই ভ্যাটের ময়লা রাস্তার উপরে উপচে পড়ে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না কেন?

শঙ্কর সান্যাল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: ওখানে প্রচুর জঞ্জাল জমা হয়। ভ্যাটের পাশাপাশি দুটি ডাম্পার আছে।একটা ডাম্পার বাইরে রাখার চেষ্টা করব।

এই শহরে এখনও পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। পুরসভা কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন?

শেষাদ্রি রায়, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: আমরা একাধিক বার শহরে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু শহরের মানুষের কোনও সহযোগিতা পাইনি।

ঘূর্ণীর পুতুল পট্টিকে কি একটু সাজান সম্ভব? বহু পযর্র্টক এখানে আসেন। তাছাড়া পুতুল পট্টিতে আসার কোনও পথ নির্দেশিকা রাখা সম্ভব কি?

সুবীর পাল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড

পুরপ্রধান: ঘুর্ণীর পুতুল পট্টি সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে শহরে পথ নির্দেশিকা তৈরির উদ্যোগ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arsenic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE