ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!
তবে এ বার কোনও লাঠালাঠি বা বাদানুবাদ নয়। একে অপরকে দেখে নেওয়ার ‘চ্যালেঞ্জ’। তবে একটু ঘুর পথে। দু’পক্ষেরই অভিযোগ, বিপক্ষের লোকজন যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন। তাই বিপক্ষকে ‘পদ’ থেকে সরানো হোক। সোমবার কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের বিডিও অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান। ‘তৃণমূল’ স্তরে ওই গোষ্ঠী কোন্দলে তাই যথেষ্ঠ বিব্রত জেলা নেতৃত্ব। অন্য দিকে, অরিন্দমবাবু বলেন, “উভয় পক্ষেরই অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পেয়েছি। এবার আইনানুগ যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে।” পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৩টি, কংগ্রেস ৭টি, সিপিএম ৪টি ও নির্দল প্রার্থীরা ৩টি আসনে জিতেছিল। এমনিতেই ওই পঞ্চায়েতে নির্বাচনের আগে থেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। ফল প্রকাশের পর প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের সময় সেই কোন্দল চরম আকার নেয়। তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠী প্রধান পদের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের গৌরী সরকার, তৃণমূলের ৪ জন, কংগ্রেসের ৭ জন, সিপিএমের ৩ জন ও ১ জন নির্দল সদস্যের সমর্থন নিয়ে প্রধান হন। উপ-প্রধান হন কংগ্রেসের বিজন মজুমদার। যদিও পরবর্তীকালে বিজন মজুদার-সহ কংগ্রেসের ৬ জন সদস্য ও ১ জন নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। দলীয় সূত্রে খবর, এক সময় সুসম্পর্ক থাকলেও ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত তা চরম আকার ধারণ করলে উভয়ই তাঁদের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রধান গৌরী সরকার বলেন, “উনি কাউকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে চাইছেন। প্রতিবাদ করায় আমাকে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। বাধ্য হয়েই তাই আমরা মোট ১০ জন সদস্য উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।” অন্য দিকে, উপ-প্রধান বিজন মজুমদার বলেন, “প্রধান নানা রকম দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের সঙ্গে যুক্ত। বাধ্য হয়েই তাই আমরা ১৪ জন সদস্য মিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy