চলছে দেহ উদ্ধার। —নিজস্ব চিত্র।
মৃত্যুর ৫০ দিন পর কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বড়ঞার কল্যাণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজেকুণ্ডল গ্রামে বিডিও বাদশা ঘোষালের উপস্থিতিতে কবর খোঁড়া হয়।
২৭ জুন রুবিনা বিবি (২২) নামে এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। ৯ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। সে সময় রুবিনার পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ না করলেও ১৭ অগস্ট তাঁর বাবা আজিবর শেখ বড়ঞা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। জামাই সিঠু শেখ এবং মেয়ের শ্বশুর ফাইনাল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সেই অনুযায়ী পুলিশ সিঠু শেখকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের স্বার্থে মৃত্যুর ৫০ দিন পর কবর থেকে মৃতদেহ তুলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠআয় পুলিশ।
মৃতার বাবার অভিযোগ, “দু’বছর আগে মেয়ের বিয়ের সময় গয়না, টাকা সবই দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে ফের আরও ৫০ হাজার টাকার দাবি আমি পূরণ করতে পারিনি। তাই মেয়েকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।”
এ দিকে রুবিনার শাশুড়ি বেদানা বিবি বলেন, “সে দিন রুবিনা মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়েছিল। ঘরে কুপি জ্বলছিল। কুপি উল্টে ঘরে আগুন লেগে যায়। এটা দুঘর্টনা।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে ভালবেসে বিয়ে করেন রুবিনা ও সিঠু। বিয়ের পর সিঠু কাজের সূত্রে মুম্বইতে থাকলেও, রুবিনা শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ইতিমধ্যে রুবিনার মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সিঠুর বাবা। তারপর তাঁরাও মুম্বই চলে যান। এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি রুবিনা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত তাঁদের বাড়িতে। কিন্তু রুবিনাকে নিয়ে অশান্তি হয়েছে বলে কেউ কখনও শোনেননি।
জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারপরই তদন্ত শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy