বিপজ্জনকভাবে বাস করছে গোটা গ্রাম। যে কোনও দিন তলিয়ে যেতে পারে বসত বাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ বিভাগের সহকারি বাস্তুকার-সহ বিভাগীয় কর্তারা। সোমবার সকালে তাঁরা গিয়েছিলেন রঘুনাথগঞ্জের খোসালপুর গ্রামে ভাঙন রোধের কাজ দেখতে। তখনই গ্রামবাসিরা তাদের ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ভাঙন প্রতিরোধের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে।
ভাগীরথীর তীরের গ্রাম খোসালপুরে গত মাস দুই ধরে ভাঙন চলছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে গিয়েছে নদীতে। পুরো গ্রামটিই এখন বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। গ্রাম বাঁচাতে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ দফতর এক সপ্তাহ ধরে ১৫০ মিটার নদীর বাঁকে বালির বস্তা ও বাঁশের খাঁচায় পাথর পুরে তা ফেলার কাজ চালাচ্ছে। গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রুনা লাইলা বিবি বলেন, “কী কাজ হচ্ছে, কত টাকার বরাদ্দ, সিডিউল কী আছে তা গ্রামবাসীরা বার বার দেখতে চাইলেও তা দেখানো হচ্ছে না। ঠিকাদার এবং বিভাগীয় আধিকারিক একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন। ব্যাপক দুর্নীতি চলছে বলে গ্রামবাসীরা ক’দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।”
রানিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পারভিন বেওয়া বলেন, “নদীর পাড় থেকে মাত্র ৫ হাত দূরত্বে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। ইতিমধ্যেই অনেক বাড়ি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এই অবস্থাতেও ভাঙনের কাজে দুর্নীতি চললে গ্রামকে টিকিয়ে রাখা যাবে না।” এ দিকে বিক্ষোভের মুখে পড়া গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ দফতরের রঘুনাথগঞ্জের সহকারি বাস্তুকার সঞ্জীব সেনগুপ্ত বলেন, “গ্রামটিকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতেই অস্থায়ী ভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। আরও মাস দেড়েক লাগবে কাজ শেষ করতে। গ্রামবাসীরা সহযোগিতা না করলে সে কাজ সময়ে শেষ করা যাবে না।” তিনি জানান গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। মঙ্গলবার দুপুরে রানাঘাট হবিবপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল প্রসেনজিৎ মণ্ডল (২৬) নামে এক বাইক আরোহীর। তাঁর বাড়ি বেগোপাড়া এলাকায়। পেশায় গাড়ির চালক প্রসেনজিৎ বর্তমানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণী কুমার রায়ের গাড়ি চালাতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy