Advertisement
০৬ মে ২০২৪
আজ কৃষ্ণগঞ্জে উপ-নিবার্চন

বাহিনী নিষ্ক্রিয়ই, মত বিরোধীদের

বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বুথের বাইরে? সেখানে কতটা সক্রিয় তারা? সর্বত্রই কি তারা পৌঁছেছে? তাদেরকে কি সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে পুলিশ প্রশাসন? কৃষ্ণগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে এমন সব প্রশ্নই শোনা গিয়েছে বিরোধীদের মুখে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকায় গিয়ে ভোটারদের ভয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য পুলিশের উপর। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে না লাগানোর। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৪
Share: Save:

বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বুথের বাইরে? সেখানে কতটা সক্রিয় তারা? সর্বত্রই কি তারা পৌঁছেছে? তাদেরকে কি সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে পুলিশ প্রশাসন? কৃষ্ণগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে এমন সব প্রশ্নই শোনা গিয়েছে বিরোধীদের মুখে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকায় গিয়ে ভোটারদের ভয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য পুলিশের উপর। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে না লাগানোর। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

উপ-নির্বাচনের প্রচারপর্ব শান্তিতে মিটেছে। কিন্তু আজ শুক্রবার সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ আনতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, হাতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও সঠিক ভাবে ব্যবহার না করার জন্যই তৃণমূল ভয় দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। এত দিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এলেও সর্বত্র টহল দেওয়ানো হয়নি। বড় রাস্তাতে জওয়ানরা টহল দিলেও বহু প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের দেখা মেলেনি। তাদেরকে এত দিন বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। সিপিএম-এর প্রার্থী অপূর্ব বিশ্বাসের নির্বাচনী এজেন্ট সুপ্রভাত রায় এ দিন বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অনেক জায়গায় বিশেষ করে বাদকুল্লা এলাকায় তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে তৃণমূল নীরবে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।” ইতিমধ্যেই সিপিএমের তরফে অবজার্ভার ও পুলিশকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও অবস্থার বিশেষ কোনও রকম পরিবর্তন হয়নি। অন্তত এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

জেলা বিজেপির মুখপাত্র সৈকত সরকারের অভিযোগ, বুথে না হয় চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবে। কিন্তু বুথের বাইরের সন্ত্রাস কীভাবে রোখা হবে। “আগে বাইরের সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মানুষ বুথে নির্ভয়ে ভোট দিতে আসতে পারবেন না” মত তাঁর। তাঁর দাবি, ামানুষকে সাহস দেওয়ার জন্য সর্বত্র ‘এরিয়া ডমিনেশনের’ জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ‘রুটমার্চ’ করানো হয়নি। বিরোধাদের ওই দাবি অবশ্য মানেননি শাসক দলের নেতারা। জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দূর, গুজরাট পুলিশ বা সামরিক বাহিনী এনে ভোট করালেও একই ফল হবে। কারণ মানুষ তাদের বর্জন করেছে।’’ জেলা শাসক পি বি সালিম বলেন, ‘‘যত রকম ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা সম্ভব আমরা তাদের ব্যবহার করছি। তারা সর্বত্র টহল দিয়েছে। সবরকম ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই বেশির ভাগ বুথে পৌঁছেছে জওয়ানরা। বুথের বাইরেও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকজন জওয়ানকে। প্রয়োজনে তাদেরকে দিয়ে গাড়িতে করে টহল দেওয়ানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এবার তেমনটা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ জেলার ৩ বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনের জন্য ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন সকালে আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকে যাবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

krishnaganj by-election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE