কেরলে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম কুশ মণ্ডল (৩৯)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর শিমুলডাঙায়। গত ৫ জুন তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না-ফেরায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানি গিয়েছে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে কেরলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলেন কুশ মণ্ডল। কেরলের ত্রিচুর জেলার আন্দিকার থানার কাপালিপল্লির একটি স্কুলে কাজ করছিলেন। দীর্ঘদিন পর নিজের পরিবারের কাছে ফেরার কথা ছিল। সেইমতো ট্রেনের টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু ৩ জুন দুপুরে মালিকের কাছ থেকে টাকা আনতে গিয়ে তিনি আর ফেরেননি। ওই দিনই ট্রেন ধরার কথা ছিল। যে সঙ্গীর সঙ্গে ফেরার কথা ছিল তাঁর টিকিটও কুশবাবুর পকেটে থাকায় সেই ব্যক্তিও সেদিন ফিরতে পারেননি। ৫ জুন মুর্শিদাবাদের বাড়িতে না পৌঁছনোই বাড়ির সদস্যরা খোঁজ খবর শুরু হয়। কেরলে কুশবাবুর সঙ্গে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা স্থানীয় আন্দিকার থানায় নিঁখোজ ডাইরি করেন। কিন্তু কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ দিকে কুশবাবুর উদ্বিগ্ন পরিবার মুর্শিদাবাদ শক্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশের ডায়রি নেয়নি। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ কোনও সহযোগিতাই করাতে চাইছে না। কুশবাবুর স্ত্রী রূপালি মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘এক মাসের বেশি হয়ে গেল স্বামীর খোঁজ নেই, দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কিছু না করতে পেরে শক্তিপুরে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু নিঁখোজ ডাইরি পর্যন্ত নিতে চাইনি পুলিশ।” থানার তরফে কোনও সাহায্য না-পেয়ে তাঁরা বহরমপুরে গিয়ে জেলা পুলিশের কর্তাদেরও জানিয়েছেন বিষয়টি। কুশবাবুর এক ভাই ভোলানাথ মণ্ডল জানান, তাঁদের প্রতিবেশী ৯ জন কেরলে কাজ করতেন। এই দুর্ঘটনার পর তাঁরা ওই কাজ ছেড়েছেন। অভিযোগ তাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন। ভোলানাথবাবু বলেন, “আমার দাদার ব্যবহৃত সামগ্রী চুরি হয়ে গিয়েছে। আমরা কি করবো কোথায় যাব বুঝে উঠতে পারছি না।”
জেলার ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) লাল্টু হালদার বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা কেরল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখানে ঠিক ভাবে অভিযোগ করার কথাও বলেছি পরিবারের লোকেদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy