Advertisement
E-Paper

মাদক পাচারের কুফল প্রচারে মাদ্রাসায় সভা

গত এপ্রিল মাসে মাদক পাচারের সময় মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণশাইল গ্রাম থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল দুই ছাত্র। ঠিক এর দু’দিন আগে লাগোয়া লালগোলা থানার হাসনাবাদ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন স্কুল ছাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৪

গত এপ্রিল মাসে মাদক পাচারের সময় মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণশাইল গ্রাম থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল দুই ছাত্র।

ঠিক এর দু’দিন আগে লাগোয়া লালগোলা থানার হাসনাবাদ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন স্কুল ছাত্র।

গত ২৫ ডিসেম্বর লালগোলায় ৫৫০ গ্রাম হেরোইন-সহ এক স্কুল ছাত্র ও এক কলেজ ছাত্রকে ধরে পুলিশ। ধৃত কলেজ পড়ুয়া জানায় এর আগেও মাদক পাচারের ঘটনায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছে সে।

যুবসমাজের মধ্যে বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ ছাত্রদের মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগে মুর্শিদাবাদের সীমান্ত ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার এই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে লালগোলার ইলমপুরে হাইমাদ্রাসায় এক সভা হল। সভায় হাজির ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর-সহ এলাকার পুলিশ কর্তারা। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে মাঠে। আই সি আর হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ সিদ্দিকি বলেন, “এলাকায় মাদকের অবৈধ কারবারের প্রভাব পড়ছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে দামি মোবাইল দেখা যাচ্ছে। কোথা থেকে এত পয়সা হাতে পাচ্ছে ছাত্ররা? আমরা এই নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।” মাদক কারবারে পুলিশের নজরে আছে স্থানীয় ইছাখালি গ্রাম। ওই গ্রামের ইমাম ইশাহাক মাদানির কথায়, “মাদক ব্যবহার, পাচার, ও ব্যবসা সব ধর্মেই অসামাজিক কাজ হিসেবে ঘৃণ্য। শুক্রবার নমাজ পড়তে আসা মানুষদের কাছে মাদকের কুফলের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেওয়া হয় মসজিদ থেকে। তবু মাদকের কারবার বন্ধ করা যায়নি। এটা চিন্তার।”

মাদকের কারবারের কাঁচা পয়সা থেকে ওই এলাকার বহু জায়গায় জুয়ার রমরমা বেড়েছে। ফতেপুর, ইছাখালি ক্যানেল পাড়, পণ্ডিতপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় সকাল থেকে সন্ধে বসছে জুয়ার আসর। আইপিএল ক্রিকেটের বেটিংয়ে এক-একদিন ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাট্টা খেলা হয়েছে এখানে। তার বিরুদ্ধেও এ দিনের সভায় আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত পুলিশ এই ধরনের মাদক বিরোধী সভা করবে। এক সময় এই এলাকায় পোস্তর চাষ হত ব্যাপক ভাবে। এখন এলাকার মানুষ সচেতন হয়েছেন বলেই তা বন্ধ হয়েছে। মাদকের কারবার বন্ধেও সেই সচেতনতা দরকার।”

durg smuggler raghunathgang
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy