হাসপাতালে আহত নেপাল।—নিজস্ব চিত্র।
কলেজে ভর্তি হতে এসে বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক ছাত্র। বুধবার শান্তিপুর কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত ছাত্রের নাম নেপাল রাজবংশী। বাড়ি শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া এলাকায়। মঙ্গলবার কলেজে পাশ কোর্সের মেধা তালিকা বের হয়েছে। বুধবার ওই ছাত্র মেধা তালিকায় তাঁর নাম আছে কিনা দেখতে এসেছিলেন। সেই সময় কলেজের গেটের কাছে কয়েকজন ছাত্র তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রকে শান্তিপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কলেজের গেটের কাছে ভর্তি হতে আসা এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু কেউ আমাকে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। তাই আমি পুলিশকেও কিছু জানাতে পারিনি।’’
তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপক মাইতি বলেন, ‘‘আহত ওই ছাত্রের মুখে ও মাথায় আঘাত রয়েছে। মাথার ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা সেটা সিটি স্ক্যান করে জানতে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ওই যুবককে।’’
আহত ওই ছাত্রের অভিযোগ, তাঁর বাড়ি শান্তিপুর কলেজের অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ছাত্র নেতার বাড়ির পাশের পাড়ায়। সেই নেতা তাঁকে ভর্তি করে দেওয়ার বদলে দশ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। আহত নেপাল রাজবংশীর অভিযোগ, ‘‘পাশের পাড়ার ওই দাদা আমাকে অনার্স পাইয়ে দেবে বলে ১০ হাজার টাকা চান। আমার বাবা দরিদ্র তাঁতশ্রমিক। এত টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি সেই দাদাকে পরিষ্কার জানিয়ে দিই, অত টাকা দিতে পারব না। আমি পাশ কোর্সেই ভর্তি হব।’’ নেপালের আরও অভিযোগ, ‘‘ওই দাদা আমাকে তখন বলে, আমি যেন টাকা দিয়ে অনার্স নিতে চায় এমন ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করে তাঁর কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু আমি সেটা পারিনি। সেই কারণেই এদিন কলেজে এলে ওই দাদার লোকেরা আমাকে মারধর করেন।”
শান্তিপুর কলেজের ছাত্র সংসদ এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনোজ সরকার বলেন, ‘‘আমি আজ কলেজে যাইনি। তাই বলতে পারব না ঠিক কি ঘটেছে। তবে বহিরাগত কিছু ছেলে কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।’’ টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy