Advertisement
E-Paper

সামশেরগঞ্জে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা

দল ছাড়লেন সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সিপিএম সদস্য। ফলে হাতছাড়া হতে চলেছে সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিমি খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন কংগ্রেসের নয় সদস্য। সিপিএমের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন আপাতত কোনও দলে যোগ না দিলেও কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন পাঁচ জনই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২১

দল ছাড়লেন সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সিপিএম সদস্য। ফলে হাতছাড়া হতে চলেছে সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিমি খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন কংগ্রেসের নয় সদস্য। সিপিএমের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন আপাতত কোনও দলে যোগ না দিলেও কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন পাঁচ জনই।

এ বিষয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন জঙ্গিপুর মহকুমাশাসকের কাছে। পঞ্চায়েত বিধি অনুসারে সাত দিনের মধ্যে অনাস্থা সভা ডাকবেন মহকুমাশাসক নিজেই।

২৭ সদস্যের সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ১৬। কংগ্রেসের নয় এবং তৃণমুলের দু’জন। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিয়ে সিপিএমের গড়া বোর্ডের সভাপতি হন সিমি খাতুন ও সহকারি সভাপতি হন আবুল আসাদুল হক। বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে বিবাদ বাধে সিপিএমের সদস্যদের নিজেদের মধ্যেই। এর জেরে সিপিএমের ছয় সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এক কর্মাধক্ষ্য-সহ দলের ছয় সদস্য লিখিত ভাবে দলীয় নেতাদের জানিয়ে দেন তাঁদের দল ছাড়ার কথা।

পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধক্ষ্য নাজিরা বিবি বলেন, “গত এক বছর ধরে চরম স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সভাপতির বকলমে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন সহ-সভাপতি আসাদুল নিজেই। সাধারণ সদস্যদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না।” বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই তাঁরা দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নজিরা বিবির অভিযোগ, “বিক্ষুব্ধ এক সদস্যকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে সিপিএমের নেতারা। ওই সদস্য নিজে সামশেরগঞ্জ থানায় থানায় গিয়ে তাঁর দল বদলের নোটিসে স্বাক্ষরের কথা জানিয়ে এসেছেন পুলিশের কাছে।’’

বিক্ষুব্ধদের দাবি “আমরা দল ছেড়ে দিয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দলীয় সদস্য হিসেবে কাজ করব। অনাস্থা সমর্থন করে অপসারিত করা হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে।”

সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের সহ-সভাপতি আবুল আসাদুল হক বলেন, “আলোচনার জন্য ৩ নভেম্বর দলের একটি সভা ডাকা হয়েছিল। তাতে ওই পাঁচ সদস্য আসেননি। এমনকী সে সময় তাঁদের সকলেরই মোবাইলও বন্ধ ছিল।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন অনাস্থা সমর্থন করলে পঞ্চায়েতের সদস্য পদ খারিজ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক পর্যায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, “২৭ জন সদস্যের এক তৃতীয়াংশ অর্থাত্‌ নয় জন কংগ্রেস সদস্য অনাস্থা স্বাক্ষর করেছেন। সিপিএমের বিক্ষুব্ধ পাঁচ সদস্য আমাদের সমর্থন করার আশ্বাস দিয়েছেন।”

raghunathganj no confidence motion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy