Advertisement
০৬ মে ২০২৪

হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা খারিজ, অসন্তুষ্ট তৃণমূল

হরিণঘাটা পুরসভা গঠিত হবে হরিণঘাটা ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়ত নিয়ে। ইতিমধ্যেই ওই দুই পঞ্চায়েতের ৬ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই বাম পরিচালিত হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে আনা তৃণমূলের অনাস্থা খারিজ করে দিল প্রশাসন। গত ১৭ অক্টোবর তৃণমূলের নেতৃত্বে ১১ জন সদস্য হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর দেবনাথের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। সেই অনুযায়ী ১১ নভেম্বর আস্থাভোট গ্রহণের দিনও স্থির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার প্রশাসনের তরফে জানান হয় অনাস্থাপত্রটি খারিজ হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৪
Share: Save:

হরিণঘাটা পুরসভা গঠিত হবে হরিণঘাটা ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়ত নিয়ে। ইতিমধ্যেই ওই দুই পঞ্চায়েতের ৬ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই বাম পরিচালিত হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে আনা তৃণমূলের অনাস্থা খারিজ করে দিল প্রশাসন।

গত ১৭ অক্টোবর তৃণমূলের নেতৃত্বে ১১ জন সদস্য হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর দেবনাথের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। সেই অনুযায়ী ১১ নভেম্বর আস্থাভোট গ্রহণের দিনও স্থির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার প্রশাসনের তরফে জানান হয় অনাস্থাপত্রটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে তৃণমূলের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।

ওই পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিমান শীল বলেন, “আমাদের বলা হয়েছে হরিণঘাটা ১ ও ২ পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে গত ১৬ অক্টোবর। আমরা যাঁদের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম তার মধ্যে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চার জন সদস্য রয়েছে। তাই আমাদের অনাস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়।” ক্ষুব্ধ বিমানবাবুর অভিযোগ, “আমরা ১৬ অক্টোবরের পরে অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছি। তা হলে সে দিন কেন তা জমা নেওয়া হল? এত দিন পরে মনে হল অনাস্থা খারিজ করার কথা?”

এ দিকে জেলাশাসক পিবি সেলিম বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থাপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। পরে দেখা যায় যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সদস্য ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি। তাঁদের বাদ দিলে অনাস্থা আনার জন্য যে পরিমাণ সদস্যের স্বাক্ষর দরকার, তা থাকছে না। তাই অনাস্থা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।”

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০ আসন বিশিষ্ট হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম ১৫টি, তৃণমূল ১৩টি ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস একটি করে আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বামফ্রন্ট বোর্ড দখল করে। সিপিএম-এর শঙ্কর দেবনাথ বোর্ডের সভাপতি হন।

১৭ অক্টোবর মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি অর্থাত্‌ ১১ জন সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে ১১ অনাস্থা আনা হয়েছিল। কিন্তু ওই ১১ জনের মধ্যে হরিণঘাটা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্যের পদ ইতিমধ্যেই খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে গ্রাহ্য স্বাক্ষরের সংখ্যা দাঁড়াল ৭। এ দিকে পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্যের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪। কারণ ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ছয় জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও বিরোধীরা অনাস্থা আনার উপযোগি আট জনের স্বাক্ষর দিতে পারেনি।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর দেবনাথ বলেন, “যদি ওই অনাস্থা গ্রহণ করা হত তাহলে আদালত পর্যন্ত যেতাম। আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। তৃণমূল অন্যায় করছে, প্রশাসন যদি সেটাকে প্রশ্রয় দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা তো নিতেই হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

haringhata panchayat no confidence motion tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE